।। প্রথম কলকাতা ।।
Self-care: পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর অনুভূতি গুলির মধ্যে একটি হল মা হওয়া। মাতৃত্বের জন্য একজন নারী প্রায় ১০ মাস এক নাজুক শারীরিক এবং মানসিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিন কাটান। মা হওয়ার পরেও বেশ কয়েক মাস ধরে চলে নানান টানাপোড়েন। একদিকে অসুস্থ শরীর, অপরদিকে ছোট্ট শিশুর যত্ন নেওয়া। এই সময় মায়েরা নিজেদের অসুস্থতার কথা বেমালুম ভুলে যান। তাদের কাছে তখন একটাই ধ্যান জ্ঞান হয়ে ওঠে, তা হল শিশুর পরিচর্যা।
তবে মা হওয়া মানেই কিন্তু পুরনো ‘আমি’কে হারিয়ে ফেলা নয়। শিশুর পাশাপাশি প্রত্যেক মায়ের নিজের যত্ন নেওয়াটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর একজন মহিলার শরীরে নানান সমস্যা দেখা দেয়। পেটে ফাটা দাগ, চোখের নিচে ফোলা ভাব এবং কালো হয়ে যাওয়া, চুল পড়া, ব্রণের সমস্যা, মানসিক অবসাদের পাশাপাশি হাজির হয় নানান জটিল রোগ। এই পরিস্থিতি থেকে সেই পুরনো আমিতে নিজেকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী কয়েকটি কাজ করা উচিত।
•এই সময় প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে। শরীরে জলের ঘাটতি হলে একদম চলবে না। জল পানে ত্বক হাইড্রেট থাকবে এবং চুলের ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসবে। পাশাপাশি খাবারের তালিকায় রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার। ব্রণের জন্য ভালো ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও হাতের কাছে রাখবেন সানস্ক্রিন।
•নিজের সঙ্গে কোন আপস নয়। আপনার যে রঙের পোশাক পরতে ইচ্ছা হবে সেই পোশাক পরবেন। এক্ষেত্রে মন ভালো থাকে। সন্তান জন্মের পর বহু মহিলা নিজেদের শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে কিছুটা হলেও হীনমন্যতায় ভোগেন। তারা অনেকেই ভাবেন আগের পোশাকে তাদের আর মানাবে না। কিন্তু এই ধারণা মাথা থেকে সম্পূর্ণ দূর করুন। নিজের পছন্দের পোশাকে নিজেকে সাজান। নিজের পছন্দের বই পড়ুন এবং গান শুনুন। এর ফলে মানসিক অবসাদ আপনাকে ছুঁতেও পারবে না।
•সব সময় নিজেকে নিয়ে পজিটিভ চিন্তা করুন। এর প্রভাব আপনার সন্তান এবং পরিবারের উপরেও পড়বে। এছাড়াও মা হওয়ার পর যে সমস্যাগুলি দেখা দেয় সেই সমস্যা আপনি খুব দ্রুত সমাধান করতে সক্ষম হবেন। আসলে পজিটিভ চিন্তাভাবনা মনে এক অদ্ভুত শক্তির যোগান দেয়, যেখানে রয়েছে ভালো থাকার রসদ।
•স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। খুব একটা ঝামেলা নেই, অথচ সমস্যার সমাধান রয়েছে। রোজ রাতে ঘুমানোর আগে স্ট্রেচ মার্কে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে এই দাগ কমতে শুরু করবে।
•সাধারণত সিজারিয়ান হলে তিন থেকে ছয় মাস এবং নরমাল ডেলিভারি হলে অন্তত দেড় মাস ভারি কোন কাজ কিংবা ব্যায়াম করা যায় না। তবে এই সময় আপনি প্রতিদিন হাঁটা এবং ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।