।। প্রথম কলকাতা ।।
PM Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গোটা বিশ্বে এত জনপ্রিয়তার রহস্য কি? একটা কাজ না করলে এতটাও হয়ত ফেমাস হতেন না মোদী। সুপারপাওয়ার আমেরিকায় মার্কিন কংগ্রেসে জয়জয়কার হল নমোর কোন মন্ত্রে? মোদী যত এগোবে দেশও ততই এগোবে। ফেমাস তো পুতিনও কিন্তু মোদীর ইমেজ তেমনটা নয়৷ মোদী মঞ্চে এসে দাঁড়ালেই জনতা আপ্লুত হয় তাঁর উপস্থিতিতে গোটা বিশ্বের এখন কার্যত জয়জয়কার। সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষাধিক ফলোয়ার্স আর টুইটারে ৮৯.৫ মিলিয়ন মানুষ অনুসরণ করেন মোদীকে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও এই উচ্চতা ছুঁতে পারেননি, বলছে রিপোর্ট৷ কিন্তু ঠিক এমন কোন কাজ করেছেন মোদী যাতে মানুষ এত আগ্রহী তার কথা শুনতে তাকে দেখতে৷ ঠিক এই টপিকের ওপরই গবেষণা করেছিল মার্কিন সংবাদসংস্থা নিউইয়র্ক টাইমস আর তার রিপোর্ট বলছে ভারতের মাটিতেই এমন একটা কাজ করছিলেন নমো যেটা তাকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়। খবরটা জানলে, আপনি গর্ববোধ করবেন। সিএনবিসির রিপোর্ট বলছে মোদীর ভাষণকালে মোট ১৫ বার
মার্কিন আইন প্রণেতারা দাঁড়িয়ে উঠে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। মোট ৭৯ বার অধিবেশন কক্ষ ভরে ওঠে করতালির আওয়াজে।
মোদীর ভাষণ শেষে বহু কংগ্রেস সদস্যই তাঁর সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য এগিয়ে আসেন। এমনকি অনেকেই নিজের মোবাইল বের করে মোদীর সঙ্গে সেলফিও তোলেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের মুজিব মাশাল লিখছেন, পুরনো ঘরানায় মোদীর রেডিও শো। তাঁকে আলাদা করে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে ভারতেই। মোদীর ‘মন কি বাত’ এমন একটি অনুষ্ঠান যেখানে স্থানীয়ের সঙ্গে জাতীয় ও বিশ্বের গণ্ডিকে সংযুক্ত করা হয়। মোদীর ৩০ মিনিটের এই অন এয়ার শোর আলাদা পাব্লিসিটি রয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে ছোট বড় সমস্ত ইতিবাচক দিক নিয়ে কথা বলেন মোদী। আর এই রেডিও শোই কিন্তু নমো প্রবল জনপ্রিয়তার নেপথ্যে রয়েছে বলে দাবি নিউইয়র্ক টাইমসের৷ সেখানে আরও বলা হচ্ছে বিশ্বের তাবড় গণতন্ত্র ভারতবর্ষে নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই তিনি জনপ্রিয় এটা যারা ভাবছেন তারা একটু দাঁড়িয়ে যান। নিউইয়র্ক টাইমসের আর্টিক্যাল বলছে নমোর জনপ্রিয়তা এই বিষয়ে নির্ভর করে না, যে তিনি বিশ্বের তাবড় গণতন্ত্রের নেতা। বরং এক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর মোদীর বিদেশনীতি সুদৃঢ়, স্পষ্ট ও স্বচ্ছ৷
আর্টিক্যাল বলছে মোদী যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফর করেছেন সেখানেই সুসম্পর্ক স্থাপন করেছেন,
এটা তার জনপ্রিয়তায় আরও একটা বড় ফ্যাক্টর। মোদীর নীতি, ভারতীয় ও বৈদেশিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলছে। এমনকি মনে করে দেখুন করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কাতেও ভারত যতই বিপর্যস্ত হোক না কেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তায় কোনও আঁচড় আসেনি ২০২১র আমেরিকার ডেটা ইন্টেলিজেন্স সংস্থা ‘মর্নিং কলসাল্ট’এর তথ্য বলেছিল জনপ্রিয়তার নিরিখে সবার উপরেই ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নরেন্দ্র মোদীর সাপোর্টে ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ সমর্থন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম