।। প্রথম কলকাতা ।।
Israel Palestine Conflict Issue: আল কাসাম ব্রিগেডের শরীরে হামাসের ছায়া। এই খতরনাক যোদ্ধাদের ফর্মেই ভয়। দেইফ এদের মাথা, আল কাসাম আসলে কারা? কি পাওয়ার? নড়ে যাবে ইহুদী ভূমির ভিত? সুড়ঙ্গের ভেতর চলছে এলাহি সব কান্ড। “ঘৌল” এর নামে প্রাণ শোকাচ্ছে আইডিএফ এর! বাড়ির বানানো অস্ত্রেই নাস্তানাবুদ ইসরাইল? টানেলের ভেতর কিভাবে বাসা বেঁধেছে আল কাসাম? হামাস নয়, সঙ্গে পঙ্গপালের মতো আটকে রয়েছে এই ব্যাটেলিয়ান ফোর্স। এদের বুকের পাটাই আলাদা। না হলে ডিরেক্ট বলতে পারে। আমরা আমাদের ঘরে তৈরি স্নাইপার রাইফেল দিয়েই তোমাদের সেনাদের শেষ করে যাব। এই হুমকি দিয়েই অস্ত্র তৈরীর একটা নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে আল কাসাম ব্রিগেড।
ইন্টারনেটে ঝড় উঠেছে। কিভাবে তৈরি হচ্ছে অ্যান্টি ম্যাটেরিয়াল স্নাইপার রাইফেল ঘৌল? দেখেই বুক কাঁপছে ইসরাইলের। তাহলে এটাই কি প্রচ্ছন্ন হুমকি? সত্যিই কি এদের গায়ে আলাদা শক্তি? ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে গড়ে তোলা একটি সংগঠনের নাম ‘আল-কাসসাম’ ব্রিগেড। আজ নয় ১৯৯০ সালের আগে হামাসের সামরিক শাখা যখন সবার কাছে অপরিচিত ছিল, সেই বছরই আল কাসাম ব্রিগেডের কার্যকলাপ ঘুম হারাম করে যায় ইসরাইলের। আল-কাসাম ব্রিগেড’ ১ ১৯৯২ সালের জানুয়ারিতে প্রথম অপারেশন দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। শুরুতে কম সংখ্যক সেনা নিয়ে শুরু করা এই ব্রিগেড এখন গাজার একটা বড় অংশ জুড়ে আছে।
শুধু গাজাতেই তাদের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। আল কাসাম একটি এমন সেনাদল, যেটাতে সেনাদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে কোম্পানি, ব্যাটালিয়ন এবং ব্রিগেড। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সেনাবাহিনীর মতো আল-কাসাম ব্রিগেডের ইঞ্জিনিয়ারিং, এরিয়াল, আর্টিলারি এবং আত্মঘাতী স্কোয়াড রয়েছে। একটি পিস্তল নিয়ে শুরু হয়েছিল এই সামরিক শাখা। এর পর অস্ত্র ভাণ্ডারে যোগ হয়েছে একটি রাইফেল, নিজেদের তৈরি মেশিন গান। ধীরে ধীরে ‘হোয়াজ’-এর মতো বিস্ফোরক যন্ত্র, আত্মঘাতী হামলার জন্য বেল্ট এবং দূর থেকে হামলার জন্য বিস্ফোরক যন্ত্র এসেছে। এদের অস্ত্র ইসরাইলের ঘুম হারাম করে দেয়। ঠিক যেমনটা করেছে স্নাইপার রাইফেল ঘৌল। শুধু এবারের যুদ্ধেই এখনো পর্যন্ত ইসরাইলের ভেতরে দেড় হাজারের বেশি রকেট ছুঁড়েছে হামাসের আল কাসাম ব্রিগেড।
এছাড়া মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের পার্ট হিসেবে ইসরাইলি শত্রুদের টার্গেট করে প্রথম থেকেই অস্ত্র তৈরির ভিডিও প্রকাশ করে আসছে হামাস। আর এবার আল কাসাম ব্রিগেডের ভিডিও আইডিএফের গ্রাউন্ড রেড অপারেশনে যথেষ্ট এফেক্ট ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভিডিওর শেষে রয়েছে ওপেন চ্যালেঞ্জ। নেতানিয়াহুর চাপ বাড়ছে। ভিডিওতে দেখানো ছোট ছোট অস্ত্র তৈরীর কারখানাতেই হামাস বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় অস্ত্র তৈরি করে। এইরকম কারখানাতেই ছোট আগ্নেয়াস্ত্র থেকে শুরু করে দূরপাল্লার আর্টিলারি, রকেট তৈরি করে, যেগুলো ২৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। মজার বিষয় হলো এই প্রথম হামাস তাদের স্নাইপার রাইফেল ঘৌল তৈরির প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করল।
অস্ত্রটি ২০০৪ সালে ইজরাইলের হাতে নিহত আল কাসাম এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার আদনান আল-ঘৌল এর সম্মানে নামকরণ করা হয়েছে। আদনান হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসাম ব্রিগেডের নেতা মোঃ দেইফের সহকারি ছিলেন। ২০০৪ সালে ইজরাইলি বিমান বাহিনীর আক্রমণে নিহত হন আদনান। ঘৌলের সদস্যরা তাকে শহীদ হিসেবে দেখেন। ঘৌল স্নাইপার রাইফেল প্রথম চালু হয়েছিল ২০১৪ সালে গাঁজা উপত্যকায় ইসরাইলের ব্যর্থ আক্রমণের সময়। পশ্চিমা মিডিয়া একটা সময় এই ঘৌল স্নাইপার রাইফেল নিয়ে অনেক সমালোচনা করেছিল কিন্তু আল কাসাম ব্রিগেড এর পোস্ট করা ভিডিও সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিল। সঙ্গে নেতানিয়াহুর প্রতিজ্ঞাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করলো। বুঝিয়ে দিল সামনের দিনগুলো ইসরাইলের জন্য আরো বেশি কঠিন হতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম