।। প্রথম কলকাতা ।।
Vande Bharat Express: ট্রেনের মেনু আপাদমস্তক বদলে যাচ্ছে। কোনও ট্যালট্যালে খাবার আর দেখা যাবেনা। জানেন বন্দে ভারতে ঠিক কী রকম খাবার মিলবে? ভরপুর বাঙালিয়ানা বন্দে ভারতে। একেবারে প্রাতঃরাশ থেকে লাঞ্চ তারপর ডিনার। ট্রেন সফরে হবে ভুরিভোজ। সম্পূর্ণ মেনুটা যদি আপনাকে বলি না, বিশ্বাসই করতে পারবেন না।তাহলে আসুন, ট্রেনের খাবারের পরিবর্তনটা আপনাকে জানিয়ে দিই।
ট্রেনের খাবার নিয়ে অভিযোগ সবারই থাকে। অভিযোগ ছিল বন্দে ভারতকে নিয়েও। ভাড়ার বেলায় লাগছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কিন্তু খাবারের মান নাকি একেবারেই খারাপ।এমনই অভিযোগ ছিল যাত্রীদের। আর এবার বোধহয় সেই অসুবিধা মিটল। বন্দে ভারত নিয়ে এল লোভনীয় সব খাবার। আর বাড়ি থেকে খাবার নিতে হবে না! মেনু শুনে নেটিজেনরা তো বলছে, এবার আর রেস্টুরেন্ট নয়। খাবার খেতে উঠে পড়তে হবে বন্দে ভারতেই।
রিপোর্ট বলছে, এবার বন্দে ভারতের মেনুতে যুক্ত হয়েছে মাছ। এতদিন ডিম, চিকেন পাওয়া গেলেও মাছটাকে ব্রাত্যই রাখা হত। তবে এবার সেই ট্রেন্ড ভেঙেছে বন্দরে ভারত।তাও আবার কোনও একরকম মাছ নয়। ট্রেনেই মিলবে নানা মাছের বাহারি সব আইটেম। কী ভাবছেন? চমক এখানেই শেষ? আরে না না, এই তো সবে শুরু। আসল চমক তো রয়েছে বন্দে ভারতের তিন বেলার মেনুতে। মেনুতে রয়েছে এলাহী সব আয়োজন। কথা দিচ্ছি, সম্পূর্ণ মেনু শুনলে জিভে জল আসবে আপনারও।
সম্প্রতি পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আধিকারি কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, এবার থেকে ব্রেকফাস্টে মিলবে ছানার ডালনা। সেই সাথে ত্রিকোণ পরোটা এবং মাল্টি-গ্রেন রুটির মতো বিভিন্ন পদ। তবে ভুরিভোজ তো শুরু হবে লাঞ্চ থেকে। পেটুক বাঙালির মন এবং পেট শান্ত করতে লাঞ্চ এবং ডিনারে রয়েছে এলাহী ব্যবস্থা। বেলা গড়াতেই পাতে পেয়ে যাবেন বাসন্তী মাছের ঝোল, ভাত, সোনা মুগের ডাল, সর্ষে মাছ এবং ধোকা অথবা ছানার ডালনা। স্বাদ বদল করতে রাখা হয়েছে চিকেন কষা, ফিস ফ্রাই এবং বাসন্তী পোলাওয়ের মত আইটেম। মুখ মিষ্টি করতে রাখা হয়েছে মিষ্টি দই, সন্দেশ এবং ক্ষীরকদমের মত ঐতিহ্যবাহী সব পদ। অর্থাৎ এককথায় ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনার, সবেতেই মিলবে ট্রেডমার্ক বাঙালি খাবার।
বে শোনা যাচ্ছে সমস্তটাই অপশনাল। নিজেদের পছন্দ মতো বেছে নিতে হবে যাত্রীদের। কী মনে হয় আপনার? এবার যাত্রীগনের মুখে হাসি ফুটবে? যদিও নেটিজেনরা তো বলছেন, কেবল এই মেনুর কারণেই বন্দে ভারতের টিকিট কাটা যায়। তবে একথা ঠিক যে, ট্রেনের মধ্যে মাছ-ভাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত যেন ভারতীয় রেলের এক বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত।এখন যাত্রীরা এটা কতটা ভালোভাবে সেটাই দেখার। যদিও মেনু দেখে উন্মাদনা ছড়িয়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ তো দাবি করছেন, শতাব্দীতেও এই মেনু যোগ করা হোক। রেল কি শুনবে সেই কথা? সেটা তো সময়ই বলবে। এই নিয়ে আপনার কী মতামত? জানাতে পারেন আমাদের কমেন্ট বক্সে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম