।। প্রথম কলকাতা ।।
Mobile addiction: বর্তমানে শিশুদের খেলার সময় কেড়ে নিয়েছে মোবাইল গেম। শুধু কি খেলা, জীবনের মূল্যবান সময় দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনায়, হারিয়ে ফেলছে মূল্যবোধ। পরিবারের সঙ্গে সেভাবে আর সময় কাটানোর ফুরসত হয়ে ওঠে না। আলগা হয়ে যাচ্ছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে থাকা আত্মিক সম্পর্ক। এমন পরিস্থিতিতে মায়েরা শিশুদের নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত থাকেন। স্মার্টফোনের গেমের জেরে শিশুরা খুন পর্যন্ত করছে, যার প্রচুর প্রমাণ রয়েছে। বর্তমানে প্রযুক্তি বিদ্যার দৌড় যেমন উপকার আছে, তেমন কিছু অপকারও রয়েছে। স্মার্টফোন, টেলিভিশন, ট্যাব, ইউটিউবে বেশিক্ষণ সময় কাটানোয় শিশুদের ভবিষ্যৎ বিপদের মুখে পড়ছে। বহু মা আবার বাচ্চাকে শান্ত রাখতে হাতে গুঁজে দেন স্মার্টফোন, যাতে মজার ভিডিও বা কার্টুন দেখে তারা শান্ত থাকে। এই সাময়িক স্বস্তি বড়সড় প্রভাব ফেলবে ভবিষ্যতে। স্মার্টফোনের উপর অত্যাধিক নির্ভরতা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারেন। স্মার্টফোন অনেকটা মদের নেশার মতো, আর এই আসক্তি অত্যন্ত বিপ্পজনক। শিশুদেরকে এই নেশা থেকে বাঁচাতে মেনে চলুন কয়েকটি সাধারণ নিয়ম।
(১) শিশুকে মাঠে খেলতে পাঠান। আসলে বন্ধু না থাকলে, অভিভাবকের সঙ্গ না পেলে নিজেদের একা থাকা সময়কে শিশুরা উপভোগ করে ভিডিও গেমের মাধ্যমে। প্রতিদিন অত্যাধিক ব্যস্ত থাকলেও একজন মাকে তার শিশুর সঙ্গে সময় দিতে হবে।
(২)শিশুরা সব সময় ফোনের মধ্যে নিজস্ব একটা জগত তৈরি করে নেয়। সেই জগতের মধ্যেই বিচরণ করে। ঠিক সেই রকম একটি জগত তৈরি করুন নিজের বাড়ির মধ্যে। যেমন আগেকার দিনের সবাই পরিবারের সব সদস্যরা মিলে বোর্ড গেম খেলতেন। সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারেন।
(৩)বাচ্চার ভুলকে ভুল ভাবেই নিন, তবে সেই ভুল শোধরাতে গিয়ে অত্যাধিক শাসন করলে চলবে না। শিশু ভুলকে সহজভাবে গ্রহণ করে সমস্যা থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসবে তার সমাধানে শিশুকে সাহায্য করুন।
(৪)শিশু সারাদিনে পড়াশোনা বাদে ঠিক কি করছে, সেই বিষয়ে একটু খেয়াল রাখুন। বর্তমানে ওয়ার্কিং প্যারেন্টসটা শিশুদের দিকে খুব একটা খেয়াল রাখতে পারেন না। যার কারণে শিশুরা খুব সহজেই স্মার্টফোন আর ওয়েব সিরিজের দুনিয়ায় নিজেদেরকে হারিয়ে ফেলছে।
(৫)এখনো অনলাইনের রমরমা। পড়াশোনাও হয় কিছুটা অনলাইনে। তাই দিনের ঠিক কোন সময় শিশু স্মার্টফোন ব্যবহার করবে তার নির্দিষ্ট একটি সময়সীমা বেঁধে দিন। পরিবর্তন যেন না হয়। শিশুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলি মুছে দিন। নজর রাখুন শিশুটি কোন কোন অ্যাপ ব্যবহার করছে।
(৬)ঘুমের আগে কখনোই শিশুকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেবেন না। যা সরাসরি মানসিক এবং চোখে ব্যাপক ক্ষতি করে। ঘুমাতে যাওয়ার ২ ঘন্টা আগে শিশুর কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে নিন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম