।। প্রথম কলকাতা ।।
Lord Shiva: কথায় রয়েছে ঈশ্বরের ডাক এলে তবে জ্যোতির্লিঙ্গের দর্শন সম্ভব। হিন্দু ধর্মের শিবলিঙ্গ এবং জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে মহাদেবের পুজো করা হয়ে থাকে। অধিকাংশ ব্যক্তির শিবলিঙ্গ এবং জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে পার্থক্য জানা নেই। অর্থাৎ ভক্তরা শিব পুজো করলেও জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শনের সৌভাগ্য সকলের হয় না। শিবলিঙ্গকে শিবের প্রতীক মেনে পুজো করা হয়। শিবলিঙ্গ হল শিব পার্বতীর আদি অনাদি একক রূপ। স্ত্রী বা পুরুষ এককভাবে সমাজে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। শিবলিঙ্গ মানব নির্মিত। এর অর্থ (Meaning) হল অনন্ত।
অন্যদিকে জ্যোতির্লিঙ্গ হল শিবের স্বয়ম্ভু অবতার। শিবের জ্যোতি (Jyoti) রূপে প্রকট হাওয়া। কোনো মানুষ তা তৈরি করেনি। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী যেখানে যেখানে জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে সেখানে স্বয়ং মহাদেব এক আলোক রশ্মি রূপে প্রকট হয়েছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। জ্যোতির্লিঙ্গ শুধুমাত্র বারোটি। দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের কারণে পৃথিবীর ভিত্তি বজায় রয়েছে। এ কারণে পৃথিবী এখনও গতিশীল ও এখানে বসবাসকারী জীব জীবন যাপন করতে পারছে।
শিব পুরাণ অনুযায়ী একদা ব্রহ্মা এবং বিষ্ণুর মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ তা নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ বাঁধে। দুই দেব নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে ব্যস্ত ছিলেন। তাদের ঘুম দূর করার জন্য শিব আলোকরশ্মির স্তম্ভ রূপে প্রকট হন। স্তম্ভের কোনো সূচনা বা সমাপ্তি ছিল না। জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে থেকে ধ্বনি শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু ব্রহ্মা বিষ্ণুর মধ্যে কেউই জ্যোতির্লিঙ্গ দেখতে পান না। তারপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর মধ্যে এই দিব্য জ্যোতি শ্রেষ্ঠ। এই রশ্মি স্তম্ভকে জ্যোতির্লিঙ্গ বলা হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম