।। প্রথম কলকাতা ।।
হামাসের দুর্ধর্ষ নুকবা টিম ইজরায়েলকে মাত দিল। গাজায় আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলে হচ্ছেটা কি? হিজবুল্লাকে নিয়ে কি চাপ বাড়ছে ইজরায়েলের? গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে যুদ্ধ এমনটাই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। যা ইজরায়েলের ভাবনারও বাইরে সেটাই করে দেখিয়েছে হামাস। বিশ্বের অন্যতম সেরা সেনাবাহিনী, ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের সঙ্গে লড়াই করার জন্য একমাত্র ‘নুকবা’-র উপর ভরসা করেছিল হামাস। কেন জানেন? কারা এই নুকবা কতটা মারাত্মক ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এই ফোর্স? প্রতিপক্ষ যখন এতটা শক্তিশালী তখন হামাসকে বদলে ফেলতে হয় পুরো স্ট্র্যাটেজি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্র বলছে শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতারা নিজের হাতে ‘নুকবা’-র সদস্যদের বেছে নিয়েছিল এই টিম তৈরি করতে যাদেরকে ঢাল বানিয়ে ঢোকানো যাবে ইজরায়েলের মাটিতে। তবে বর্তমানে কূটনৈতিক মহল মনে করছে যেভাবে সিরিয়া ও লেবাননের হিজবুল্লা এ যুদ্ধে অ্যাকটিভ তাতে এই যুদ্ধে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে।
হামাসের ‘নুকবা’ বাহিনী একদিকে যেমন ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র চালাতে সক্ষম। অন্য দিকে সে ভাবেই রকেট এবং স্নাইপার রাইফেল ব্যবহারে সড়গড়। শুধু তাই নয় বর্তমানে এই বাহিনীর ‘কমান্ডোরাই’ হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বলে ইজরায়েল সূত্রে খবর। আইডিএফ সূত্রে খবর, ২০০৭ সালে গাজার দখল নেওয়ার পর থেকেই সেখানে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু করে হামাস। সেই আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের পথ হাতের তালুর মতো তাদের চেনা। এখন, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার সময় সেই সুড়ঙ্গই কাজে লাগাচ্ছে তারা। প্রশ্ন উঠছে হামাস কি গাজা স্ট্রিপকে বাঁচাতে পারবে ইজরায়েলের হাত থেকে? পণবন্দিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত গাজায় অবরোধ উঠবে না ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও অনড় ইজরায়েল জানিয়ে দিয়েছে। সে দেশের শক্তিমন্ত্রী ইজরায়েলি কাটজের কথায় ‘গাজায় মানবিক ত্রাণ। ইজরায়েল থেকে যাঁদের অপহরণ করা হয়েছে তাঁরা বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত কোনও বিদ্যুতের সুইচ জ্বলবে না কোনও জলের পাইপ চালু হবে না কোনও জ্বালানির গাড়ি ঢুকবে না।’
ইন্টারন্যাশনাল রেড কমিটি অফ দ্য রেড জানিয়েছে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজার হাসপাতালগুলির জেনারেটরের জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। জখমের সংখ্যা বাড়ছে হুড়মুড়িয়ে কী হবে তাঁদের? কেউ জানে না জানা যাচ্ছে গাজাকে উদ্ধার করতে হামাসের ‘নুকবা’ টিম এখন সুড়ঙ্গগুলিকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করছে। তবে আইডিএফ লাগাতার বোমাবর্ষণ করে গাজা স্ট্রিপ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা সেই সুড়ঙ্গের নেটওয়ার্ক নষ্টের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যা পরিসংখ্যান, তাতে আইডিএফের লাগাতার হামলার জেরে গাজায় প্রায় ৪ লক্ষ ২৩ হাজার বাসিন্দা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা দেড় হাজারেরও বেশি, জখম ৬,৬১২। ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এবং জেরুজালেমের অবস্থাও ভাল নয়। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি মুখে স্পষ্ট না মানলেও হেজবোল্লার সম্ভাব্য গতিবিধি চিন্তায় রাখছে ইজরায়েলকেও। কারণ তারা এই যুদ্ধে পুরোদস্তুর অংশ নিলে পশ্চিম এশিয়ার রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ কোন দিকে গড়াবে বলা কঠিন। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, ইরান-সমর্থিত হেজবোল্লা হামাসের থেকে সামরিক ভাবে ঢের বেশি শক্তিশালী। ইজরায়েলের যে কোনও অংশে আক্রমণ হানতে সক্ষম। তখন যু্দ্ধের স্ট্র্যাটেজি বদলাতে হতে পারে ইজরায়েলকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম