।। প্রথম কলকাতা ।।
চীনের মুখে ঝামা ঘষে, মোদীতেই মজে বাইডেন। জি ২০’র “এক বিশ্ব, এক পরিবার” এইভাবে সাকসেসফুল? ভারতের নাম জপছে যুক্তরাষ্ট্রের বড় শত্রু রাশিয়াও! হীরে-বাঁধানো সার্টিফিকেট ভারতকে? মোদীর ব্যালেন্স পলিসিই মন জিতলো বাইডেনের? চীনের স্বার্থে ঘা, দেশ নয় বিশ্বের অ্যাজেন্ডা পূরণ করলো দিল্লির জি২০। ফুল মার্কস পেয়ে পাশ করেছেন মোদী। এবার পেলেন মহামূল্যবান সার্টিফিকেট। সাধে কী মোদীর কাঁধে হাত রেখে ছোটবেলার বন্ধুর মতো কথা বললেন বাইডেন? সমীকরণটাই আলদা লেভেল এর।
চীনের সাথে ঘা লেগেছে, তাই জি২০ সামিট নিয়ে বেজিং দিল্লির বুকে আঁচড় কাটতে শুরু করেছে কিন্তু, বাকি বিশ্ব, যে সব দেশ দিল্লিতে পার্টিসিপেট করেছে সবাই একযোগে ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। প্রথমবারেই মন জিতে নিল ভারত হ্যাঁ, এই প্রথমবার জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভারত। দিল্লিতে রাষ্ট্রপ্রধানদের সামিট শেষ হয়েছে। ঠিক তার পরেই সভাপতি রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জি-২০ র যে আয়োজন, যে অ্যাজেন্ডাকে ব্যাক টু ব্যাক কাউন্টার করছে চীন, সেই ভারতকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছে আমেরিকার প্রবল প্রতিপক্ষ রাশিয়াও। আমেরিকার বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র বলছেন তাঁদের বিশ্বাস জি-২০ সামিট চূড়ান্তভাবে সফল। জি-২০ বিশাল বড় সংস্থা। যেখানে রাশিয়া, চিনের মতো দেশগুলিও রয়েছে। সদস্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে মতানৈক্য। তা সত্ত্বেও সার্বভৌমত্ব, ভৌগলিক অখণ্ডতা বজায় রাখা নিয়ে বিবৃতি দিতে পেরেছে জি-২০। আর পুতিন?
যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার নাম না করে যেভাবে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে জি-২০ সামিটে, তাতে খুশি ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। সর্বপরি, নয়া দিল্লির জি-২০ সামিট মঞ্চ থেকে সমস্ত সদস্য দেশকে ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যতের’ অঙ্গীকার নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। যার প্রশংসা করতে বাধ্য পরম শত্রুও। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই মোদী সরকার এই প্রশংসার দাবিদার। যে সার্টিফিকেটে হাইলাইট করা হয়েছে মোদীর ব্যালেন্স পলিসিকে। ঠিক এই স্ট্রাটেজিতেই বিশ্বের দরবারে ভারত সব কূল রক্ষা করে চলছে এখনো। তাই চীন যতই ভারতের বিরুদ্ধে গলা ফাটাক না কেন, চুপ থেকে দিল্লি বুঝিয়ে দিচ্ছে গোটা বিশ্ব একদিকে আর চীন তার বিপরীতে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম