।। প্রথম কলকাতা ।।
Panic Attack: প্যানিক অ্যাটাক! শব্দটা হয়তো অনেকেই চেনেন কিন্তু আসলে প্যানিক অ্যাটাক কি জানেন? বলে কয়ে আসেনা এই রোগ! কি কি কারণে হতে পারে? প্যানিক অ্যাটাক থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকতে পারে। আচ্ছা আপনিও এই রোগে আক্রান্ত নন তো? কিভাবে বেরিয়ে আসবেন এই পরিস্থিতি থেকে? প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার অনেক কারণ হতে পারে। খুব কাছের মানুষ যদি অতিরিক্ত কষ্ট দেয় বা কোনও কারণে যদি শোকাগ্রস্ত হয়ে পড়েন সেই মুহূর্তে আপনার হতে পারে প্যানিক অ্যাটাক। মূলত আমরা যখন মানসিক ভাবে কোনও কারণে বিপর্যস্ত থাকি তখন এই প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার চান্স বেশি। আবার আপনি যদি হঠাৎ ভয় পেয়ে যান তখনো কিন্তু প্যানিকে এটাকে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু কি করে বুঝবেন আপনি এক্সাক্টলি এই রোগটাতেই আক্রান্ত?
সেই সময় বেশ কিছু লক্ষণ শরীর ও মনে স্পষ্ট হয়ে যায়। প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে যাবেন আপনি। হট বিট বেড়ে যাবে কয়েক গুণ, অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে, হাত পা কাঁপতে থাকবে, মনে হবে আপনার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অনেকটা হার্ট অ্যাটাকের মত অনুভূতি হবে। আপনার শরীরে স্টোর করতে পারে টানা দশ মিনিট পর্যন্ত। এমন সমস্যা আপনার থেকে থাকলে সাবধান হয়ে যান। এড়িয়ে যাবেন না একেবারেই। এই সমস্যা বাঁধতে থাকলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই অবহেলা নয়। এর ও চিকিৎসা রয়েছে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কিন্তু আচমকা প্যানিক অ্যাটাক হলে, নিজেকে সামলানোর জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি কী কী করতে পারেন? সেটা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
- প্রথমেই নিজেকে শান্ত করতে জোরে জোরে শ্বাস প্রশ্বাস নিন। এতে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়।
- একটি চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। পায়ের পাতা মাটিতে চেপে রাখুন। এভাবে পাঁচ মিনিট বসুন।
- যে মুহূর্তে এই ধরনের ভয় ধাওয়া করবে, তখনই নিজের যে কাজটা সবচেয়ে ভালো লাগে সেটাই করা উচিত। হতে পারে সেটা গান গাওয়া বা স্রেফ টিভি দেখা ইত্যাদি।
- দিনে কিছু সময় নিয়মিত মেডিটেশন করুন। এতে উপকার পাবেন।
- নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। শরীরচর্চা মানসিক স্ট্রেস কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে।
- যাঁর সঙ্গে কথা বলে আরাম পান তাঁর সঙ্গেই কথা বলুন। চারপাশে এমন কিছু মানুষ থাকেই যাঁদের কথা বলার কোনও মাপকাঠি নেই। ভালো না লাগলে তাদের এড়িয়ে চলুন।
- নিজেকে ভালো করে হাইড্রেটেড রাখুন। জল খাওয়া বন্ধ করবেন না।, তবে বেশি ক্যাফিন জাতীয় খাবার খাবেন না।
- প্যানিক অ্যাটাক হলে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাহলে সঠিক সময়ে উপকার পাবেন আপনি।
- যে বিষয় নিয়ে প্যানিক অ্যাটাক আপনার হচ্ছে সেই প্রসঙ্গে কাউন্সেলরের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন। তাহলে সমস্যার সমাধান সম্ভব।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম