।। প্রথম কলকাতা ।।
কৌশিকী অমাবস্যায় তারা মায়ের ভোগের এলাহি আয়োজন। তারাপীঠের এই রান্নাঘরে তৈরি হয় আমিষ পদও। এই দুটো দিন সাধারণ খাবার মুখে রোচে না তারা মায়ের। ভোগের থালিতে নিরামিষের সাথে আমিষ কী কী থাকে? তারা মায়ের আগে বামদেবের ভোগ কেন দেওয়া হয়? জানুন কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠের এই অজানা রহস্য। অনান্য দিনের মতো নয়! কৌশিকী অমাবস্যায় রাজকীয় ভোগের আয়োজন হয় তারাপীঠ মন্দিরে।
মূল মন্দিরে নিবেদন করা হয়েছে ভোগের থালি সেই থালিতে ছিল নিরামিষের সাথে আমিষ। খাবারচিড়ে, লুচি, মিষ্টি, পায়েসের সুস্বাদু ভোগ এছাড়া আরতির পর মাকে দেওয়া হয় খিচুরি, বাসন্তী পোলাও, অন্নভোগ, পঞ্চব্যঞ্জন,
ছয় রকমের ভাজা, শুক্তো। তবে তারা মায়ের সবচেয়ে প্রিয় মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস বা বলির মাংস, পোড়া শোল মাছ, পায়েস, চাটনি, মিষ্টি সাথে কারণবারি। এদিন পোড়া শোলা মাছ ছাড়া মুখে রোচে না তারাপীঠের তারা মায়ের। যাঁরা মানত করেন, তাঁরাও এই ভোগের থালি নিবেদন করেন। পুজোর পর সেই ভোগ প্রসাদ হিসেবে ভক্তদের মধ্যে বিলি করা হয়। কিন্তু মায়ের ভোগ নয়। বামদেবের ভোগ আগে কেন দেওয়া হয় তারাপীঠ মন্দিরে?
সন্তানকে খাইয়ে তবেই তারা মা নিজে ভোগ গ্রহণ করে থাকেন। বছর বছর এই নিয়ম মানা হয়ে আসছে। এই নিয়মের কখনও অন্যথা করা হয় না। তাই বামদেবের ভোগ সবার আগে দেওয়া হয়। ভোগের তালিকায় থাকে প্রেত ভোগও। মাঝরাতে প্রেত ভোগের আয়োজন করা হয়। নতুন বেনারসি পরিয়ে মুণ্ডমালা, হস্তমালা ও ফুলের সাজে ধ্যানময়ী মূর্তিকে মঙ্গলারতি করা হয়। রাজবেশে এবারও আরতি নিয়েছেন তারা মা। পুরাণ মতে, এই পুণ্যতিথিতে শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করার পর দেবী পার্বতীর দেহের কোষ থেকে দেবী কৌশিকী দেবীর আবির্ভাব হয়েছিল।
শুভ তিথি আবার তন্ত্রসাধনারও জন্যও গুরুত্বপূর্ণ এদিন। দেশ-বিদেশ থেকে সাধকরা তারাপীঠের মহাশ্মশানে ভিড় করেছিলেন। সারারাত জেগে সাধনা করেন তাঁরা। এই তিথিকে অনেকেই তারা নিশি বলেও। বিশেষ দিনে তারা মার আরাধনা করলে জীবনে সব বিপদ কেটে যাবে এমনটাই বিশ্বাস করা হয়। কৌশিকী অমাবস্যা মানে তারাপীঠের প্রধান উৎসব প্রতি বছরের মতো এ বারও সেজে উঠেছিল তারাপীঠ মন্দির। রীতি মেনে সেবাইতরা নিষ্ঠা ভরে পুজো শুরু করেন মায়ের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম