।। প্রথম কলকাতা ।।
গাঙ্গুলী ও রায় পরিবারের মধ্যে তখন মুখ দেখাদেখি নেই। বিয়েতে দুই বাড়িকে কীভাবে রাজি করিয়েছিলেন সৌরভ -ডোনা? মহারাজের জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু অজানা ঘটনা আজ জানাবো করবো আপনাদের সাথে। ফার্স্ট ডেটে যা কাণ্ড করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিলেন ডোনা। বিরাট-অনুষ্কার মতো ডেস্টিনেশন ওয়েডিং নয় সৌরভের বিয়ের আয়োজন কেমন ছিল? ফুলশয্যায় ক্রিকেট জীবনের সবচেয়ে সেরা গিফটা ডোনাকে দিয়েছিলেন সৌরভ। পাশের বাড়ির বান্ধবী থেকে তিনি আজ মহারাজের ম্যাডাম। বাড়ি থেকে পালিয়ে দুজন কোথায় গিয়েছিলেন ? স্ত্রী হিসেবে সংসার একা সামলাতে হয়েছে ডোনাকে তবুও সৌরভকে নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই। আজকাল সামান্য় বিষয়ে মতের বিরোধ হলেই ডিভোর্স হয়ে যায় সেখানে সেলিব্রেটি হয়েও ২৬ টা বছর একসাথে কাটিয়ে দিলেন। শুধুমাত্র একটা কারণ সৌরভ ও ডোনা গাঙ্গুলীকে আলাদা হতে দেয়নি!জানেন সেটা কী? ছোটবেলার প্রেম নাকি পূর্ণতা পায় না। এই কথাকে মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়েছেন সৌরভ ও ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। দুই বাড়ির মধ্যে মুখ তুমুল ঝামেলা। সেই দুই বাড়ির ছেলে মেয়েদের মধ্যে প্রেম? সম্ভব করেছিলেন মহারাজ নিজেই। গাঙ্গুলী বাড়িতকে সেই বিয়ের আয়োজন কেমন ছিল?
টুকটুকে লাল বেনারসীতে ডোনা গাঙ্গুলী। পাশে পাঞ্জাবীতে সৌরভ গাঙ্গুলী এক ফ্রেমে রয়েছেন সৌরভের দাদা স্নেহাশিসও। আবার এই ছবিতে বরকে খাইয়ে দিচ্ছেন নতুন বউ। বহু ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে দুজনের এই হাসিমুখটা দেখা গিয়েছিল সেদিন। ১৯৯৬ সালের ১২ অগাস্ট ডোনার সঙ্গে পালিয়ে চুপিচুপি কোর্ট ম্যারেজ করেছিলেন সৌরভ। সংবাদমাধ্যমে খবরটা ফাঁস হয়ে যায় বাবার ফোন করে সৌরভকে বলেছিলেন এটা ঠিক না ভুল? কলকাতায় ফিরে দুই বাড়িকে বুঝিয়ে বিয়েতে রাজি করান। কখনও ডোনার হাত ছাড়েননি সৌরভ। ফুলশয্যার রাতে ভালোবাসার মানুষটাকে সবচেয়ে দামী গিফটা দিয়েছিলেন। লর্ডসে খেলতে গিয়ে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়ে সোনার ব্রিটিশ মুদ্রা পেয়েছিলেন মহারাজ। সেটাই লকটে করে একটা মোটা সোনার চেন দিয়ে সুন্দর ডিজাইন করে ডোনার গলায় পরিয়ে দিয়েছিলেন সৌরভ।
ছোটবেলায় সৌরভ যখন বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলতেন, সেইসময় ডোনার বাড়ির সামনে দিয়েই তিনি একটু বেশিই যাতায়াত করতেন। যাতে ম্যাডামকে দেখতে পান। ইচ্ছে করেই রায় বাড়িতে মহারাজ শাটলকক ফেলে দিতেন। সেটা নিয়ে আসার সময়ে দুজনের মধ্যে একটু কথাবার্তা হত। পেশায় নৃত্যশিল্পী ডোনা সবসময়ই সৌরভের ক্রিকেটকে ভালোবেসেছেন। মহিলা ফ্যানদের সংখ্যা কম ছিল না। তার কোনও প্রভাবই সম্পর্কে পড়েনি। ফার্স্ট ডেটে সৌরভ একগাদা খাবার অর্ডার
করেছিলেন সবটা একাই খেয়ে নিয়েছিলেন। মহারাজের ছেলেমানুষি দেখে ভালোবেসে ফেলেন ডোনা। সৌরভ ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার পর তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে লুকিয়ে বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন। দাদাকে অনেকসময় বিদেশে খেলার জন্য যেতে হয়েছে কোনওদিন অভিযোগ করেননি স্ত্রী হয়ে। একা হাতে সংসার সামলেছেন একাই মেয়েকে আগলে রেখেছেন ডোনা গাঙ্গুলী।মহারাজকে নিয়ে কোনও আক্ষেপ করেননি ্কোনওদিন। সংসারের ফাঁকে নিজের নাচকেও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।
সঙ্গীর পেশা আলাদা হলে সেখানে দুজন দুজনের সম্পর্ককে ও পেশাকে বোঝা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেই নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। তা কখনও হয়নি সৌরভ ডোনার সাথে। এখন অনেকেই মনে করেন যে, আজকাল সম্পর্ক খুবই নড়বড়ে। সামান্য় বিষয়েই ডিভোর্স হয়ে যায়। কিন্তু এই কথা খুবই ভুল। আসলে সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য় দুজনকেই যথেষ্ট এফর্ট দিতে হয়। সৌরভের অভিভাবকরা প্রথমেই এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিলেন। নয়ের দশকে সেই সময় এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু হেরে ডোনাকে ভুলে যাননি মহারাজ। আসলে সৌরভ গাঙ্গুলী কখনও হারতে পারেননা। লর্ডসে শুধু নয়, নিজে প্রেম জীবনেও দাদাগিরি দেখিয়েছেবন মহারাজ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম