।। প্রথম কলকাতা ।।
Chappal At Home : কথায় আছে মানুষ অভ্যাসের দাস। আমরা যা অভ্যাস করি সেটাই পরের প্রজন্মকে শেখায়। একটা সময় মানুষ জুতো ছাড়াই দিনযাপন করতেন। বাড়ি হোক কিংবা রাস্তাঘাট পায়ে তাদের জুতো দেখা যেত না। পরবর্তীতে সময়ের সাথে সাথে চপ্পল পরতে শিখলেন মানুষ। আর এখন সময়ের স্রোতে ভেসে সে ক্ষেত্রেও এসেছে পরিবর্তন। শুধুমাত্র বাইরে বেরোলেই যে জুতো পরতে হয় এমনটা নয়, বাড়ির মধ্যে থাকলেও অনেকে জুতো পরতে পছন্দ করেন। এর পেছনে অবশ্য কারণ হিসেবে তাঁরা নিজেদের পা কে ময়লা থেকে বাঁচাতে অথবা শীতকালে ঠান্ডা মেঝের হাত থেকে পা কে রক্ষা করার বিষয়টি উল্লেখ করে থাকেন।
বাড়ির মধ্যে জুতো পরার অভ্যাস অনেকেই পছন্দ করেন না। আবার অনেকেই এই অভ্যাস তৈরি করে নিয়েছেন বহুদিন ধরে। প্রত্যেকের কাছেই নিজের বাড়ি শান্তির জায়গা। আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই থাকে দেবতার স্থান। এছাড়াও বাড়ির আরও বেশ কয়েকটি জায়গা রয়েছে যেই জায়গা গুলিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করি আমরা। জুতো যেটা পায়ের নিচে থাকে সেটার স্থান কখনও বদলানো যায় না। সেই অর্থে জুতো নোংরা জিনিস হিসেবেই বিবেচিত হয়। তাই বাড়ির সেই সকল জায়গাগুলিতে জুতো রাখা কিংবা জুতো পরে প্রবেশ করা বাস্তুশাস্ত্রের মতে অত্যন্ত অমঙ্গলের হতে পারে।
যেমন ধরুন আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই দেবতাদের সিংহাসন কিংবা মন্দির থাকে। সেখানে দেবতার বসবাস এমনটাই ধারণা জন্মায় আমাদের মনে। সেই জায়গায় কিংবা তাঁর আশেপাশে জুতো পরে প্রবেশ করা কখনই উচিত নয়। তাতে আপনার জীবনেও নেমে আসতে পারে অশান্তির কালো ছায়া। এছাড়াও আমাদের বাড়িতে থাকে রান্নাঘর। এই রান্নাঘর হল এমন একটি জায়গা যা সারাদিন পরিবারের সদস্যদের খোরাক জোগায়। রান্নাঘরে থাকে না আগুন এবং দানাশস্য। যা অগ্নিদেব এবং মা লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবেই ধরা হয়। সেক্ষেত্রে রান্নাঘরে জুতো পায়ে দিয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
এখন বড় বড় শোরুম গুলিতে জুতো পরে যাওয়া কোন ব্যাপার নয়। কিন্তু জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী যেখানে ব্যবসা করা হয় সেই জায়গায় ধনলক্ষ্মীর অবস্থান থাকে। কাজেই দোকানে জুতো পরে ঢোকা কখনও শুভ বলে বিবেচিত হয় না। অনেকের বাড়িতেই এখনও পর্যন্ত সিন্দুক দেখতে পাওয়া যায়। এই সিন্দুক ধনরাশি রাখতে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র রাখতে ব্যবহার করা হতো এককালে। এখন যদিও ঘর শয্যার জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বাড়ি যেখানে সিন্দুক থাকে সেখানে জুতো পরে অথবা অপরিচ্ছন্ন জামা কাপড়ে যাওয়া উচিত নয়। উল্লেখিত এই সকল তথ্যগুলি কেবলমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। এই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম