।। প্রথম কলকাতা ।।
Franchise Business: ব্যবসার বিভিন্ন দিক রয়েছে।নিজের সুযোগ সুবিধা এবং ব্যয় করার ক্ষমতা বুঝে ব্যবসা বেছে নেওয়া উচিত। বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থাগুলি তাদের ফ্রাঞ্চাইজি মডেল (Franchise Model) নিয়ে নতুন নতুন চিন্তা ভাবনা করছে। স্থানীয়ভাবে তাদের ব্র্যান্ড কিংবা ব্যবসাকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই ফ্রাঞ্চাইজি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। কিছু নিয়ম কানুনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ একটা টাকা বিনিয়োগ করলেই নামকরা কোন দেশীয় ব্র্যান্ড কিংবা আন্তর্জাতিক ব্রান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলতে পারে খুব সহজে। তার জন্য ব্যবসায়ীকে শুধুমাত্র ফ্রাঞ্চাইজি এগ্রিমেন্ট করতে হবে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন কোম্পানির ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়া যেতে পারে:
* আমূল (Amul) : ভারতের অন্যতম পুরনো এবং ভরসাযোগ্য একটি সংস্থা হল আমূল। ১৯৪৬ সালে ত্রিভুবন দাস প্যাটেলের হাত ধরে এই ব্যবসা শুরু হয়েছিল। আজ এই সংস্থার সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ । ভারত সহ ভারতের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় এই সংস্থার তৈরি করা দ্রব্য বিক্রি করা হয়। নিজস্ব ব্রান্ডের আওতায় তাঁরা ফ্রাঞ্চাইজি নেটওয়ার্ক খুলতে বেশ আগ্রহী । এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীকে বিনিয়োগ করতে হবে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা এবং জায়গা প্রয়োজন ৩০০ থেকে ৭০০ বর্গফুট।
* ডমিনোজ পিৎজা (Domino’s Pizza) : এই পিৎজা দোকানের চেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু হয়েছে। এটি ১৯৬০ সালে মিশিগানে প্রথম তৈরি হয়েছিল। আর তারপর বর্তমানে এটি প্রায় ৭০ টি দেশে আউটলেট খুলতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে ডমিনোজ ফ্রাঞ্চাইজির মাধ্যমে ভারতে আরও বেশি করে তাদের ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে চাইছে। ডমিনোজ পিৎজা ফ্রাঞ্চাইজি শুরু করার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। জায়গা প্রয়োজন ৫০০ থেকে ৮০০ বর্গফুট।
* কেএফসি (KFC) : মুচমুচে ফ্রায়েড চিকেনের সাথে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের বাকেট হল kfc-র মূল আকর্ষণ। মার্কিন মুলুকের এই রেস্তোরাঁ বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে গিয়েছে। ভারতে এর ব্যবসা প্রথম শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। ইতিমধ্যে ভারতের প্রায় ৪০০ এর বেশি kfc এর আউটলেট রয়েছে । এরপরেও তাঁরা ফ্রাঞ্চাইজি বাড়াতে বেশ আগ্রহী । এদের ফ্রাঞ্চাইজের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত । আর জায়গা প্রয়োজন ৫০০ থেকে ১২০০ বর্গফুট মত।
* ল্যাকমে (Lakme) : এটি হল একটি বিউটি ব্র্যান্ড। মহিলাদের কাছে ভারতের অন্যতম সেরা বিউটি ব্র্যান্ড গুলির মধ্যে একটি হল ল্যাকমে। এই সংস্থার ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা । তবে ব্যবসার দারুন উন্নতির সুযোগ থাকছে এখানে।
* পতঞ্জলি (Patanjali) : পতঞ্জলি হল আয়ুর্বেদের সঙ্গে আধুনিক যুগের এক দারুন মেলবন্ধন। বাবা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণের উদ্যোগে ভারতীয় এফএমসিজি ফার্ম পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ প্রাইভেট লিমিটেড তৈরি হয়েছিল। এই সংস্থাটি প্রায় ৫০০ ধরনের প্রোডাক্ট তৈরি করে থাকে। ভারতের এই সংস্থার ফ্রাঞ্চাইজি বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে। এমন কি রয়েছে বিদেশের মাটিতেও। পতঞ্জলির ফ্রাঞ্চাইজি শুরু করার জন্য প্রয়োজন ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। আর ৫০০ থেকে ৭০০ বর্গফুট জায়গা।
* এছাড়াও ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়া যেতে পারে জাভেদ হাবিব হেয়ার অ্যান্ড বিউটি, ডেলিভারি, কল্যাণ জুয়েলার্স, ফার্স্ট ক্রাই, ভাডিলাল আইসক্রিম সহ প্রভৃতির।
ফ্রাঞ্চাইজির ব্যবসার সুবিধা কী?
এই ব্যবসার সব থেকে বড় সুবিধা হল আপনাকে মার্কেটিং করার জন্য মাথা ঘামাতে হবে না। সেই কাজটি করবে আসল সংস্থা অর্থাৎ পেরেন্ট কোম্পানি। আপনার কাজ হবে শুধুমাত্র স্থানীয় স্তরে প্রচার বাড়ানো এবং স্থানীয় মানুষদের ওই প্রোডাক্টের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করা। এই ধরনের ব্যবসায় খুব বেশি পুশ্চজি বিনিয়োগ করতে হয় না। ব্যর্থতার ঝুঁকিও থাকে অনেক কম। বিনিয়োগের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। জিনিসপত্র এবং কাঁচামাল সরবরাহ করা হয় মূল সংস্থা থেকে। সে ক্ষেত্রেও শুধুমাত্র চাহিদা জানাতে হয় পেরেন্ট কোম্পানিকে। বাকিটা তাঁরা নিজেদের মতো করে সামলে নেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম