।। প্রথম কলকাতা ।।
Spirituality: হিন্দুধর্মে যারা বিশ্বাসী তাদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র একটি জায়গা হল ঈশ্বরের বাসস্থান অর্থাৎ মন্দির (Temple)। কোন শুভ কাজে যেমন তাঁরা মন্দিরে ছুটে যান তেমনই জীবনে অনিশ্চয়তার ছায়া নেমে আসলেও হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা মন্দিরের দিকেই পা বাড়ান। সেখানকার ধূপ ধুনোর গন্ধ, ঘন্টার ধ্বনি, প্রার্থনার গুঞ্জন পুরোহিতদের মন্ত্র উচ্চারণ সবকিছু মিলিয়ে একটি আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি হয়। যা যে কোন মানুষের শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। অনেকেই বলে থাকেন মন্দিরে গিয়ে কিছুক্ষণ ধ্যান করলে মন শান্ত হয়। মনের হতাশা দূর হতে থাকে।
একথা একেবারেই অযৌক্তিক নয়। মন্দির প্রদক্ষিণ করলে সত্যিই প্রসন্ন হয় মন মেজাজ। আমাদের পারিপার্শ্বিক সব জিনিসকে যাচাই করবার, দেখার দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হতে শুরু করে। যদিও এর নেপথ্যে রয়েছে বহু প্রচলিত একটা বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির ছাপ। হিন্দু ধর্ম (Hindu Dharma) বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ধর্ম গুলির মধ্যে একটি। যা আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। হিন্দু ধর্মে যত রকমের আচার অনুষ্ঠান পুজো করা হয়ে থাকে এই সব কিছুর পেছনেই একটা নির্দিষ্ট চিন্তা ভাবনা এবং যুক্তি রয়েছে। আর তার সাথেই জড়িয়ে রয়েছে মন্দিরে আসার পর মন শান্ত হওয়া এবং পজিটিভ এনার্জি (Positive Energy) বৃদ্ধি পাওয়ার এই রহস্য।
বিশেষজ্ঞরাও বলে থাকেন, যখন আমাদের আশেপাশে ইতিবাচক চিন্তাভাবনার মানুষ থাকেন, ইতিবাচক কাজকর্ম হয় এবং নিজেদেরকে কোন ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হয় তখন এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়। আর শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম একটি ওষুধ হল মন ভালো রাখা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে সেই রকম একটি ইতিবাচক জায়গা হল মন্দির। তাঁরা জন্মের পর থেকেই শুনে আসছেন মন্দিরে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করলেই আশীর্বাদ পাওয়া যায়। দুঃখ কষ্ট আনন্দ বেদনা সবকিছুই উজাড় করে দেওয়া যায় দেবতার চরণে। কাজেই মন্দির হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে একটা আস্থার জায়গা।
এই বিশ্বাস নিয়ে কেউ যখন মন্দিরে প্রবেশ করেন তখন তিনি যতই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে থাকুন না কেন তাঁর মনে গেঁথে থাকা এই বিশ্বাস তাকে ইতিবাচক তরঙ্গ দেয়। যা মন মস্তিষ্ক এবং শরীরকে শান্ত করে। আর ধূপ ধুনোর গন্ধ, ঘন্টার আওয়াজ, কপালে তিলক লাগানো , মন্দির প্রদক্ষিণ করা এই সব কিছুই আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে (The five senses) আরও সক্রিয় করে তোলার জন্য সাহায্য করে। খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় মন্দিরে যেসকল কাজগুলি হয়ে থাকে সেই গুলির প্রভাব আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের ওপরেই পড়ে। কাজেই সেগুলি সক্রিয় হয়, পজিটিভ এনার্জি গ্রহণ করতে পারে চারিপাশ থেকে এই কারণেই মন্দিরে আগত ভক্তবৃন্দদের মন শান্ত হয় ভগবান দর্শনে এবং মন্দির প্রদক্ষিণে। উল্লেখ্য, প্রতিবেদনে যে সকল তথ্য গুলি দেওয়া হয়েছে এইগুলি একেবারেই সাধারণ বিশ্বাসের উপর বৃদ্ধি করে লেখা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম