।। প্রথম কলকাতা ।।
মায়ের আগমনে কাঠের দুর্গা নজড় কারছে বেশি করে। ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে কাঠের দুর্গা। হু হু করে বিক্রি। পুজোর মধ্যে বিপুল লক্ষীলাভ হস্তশিল্পী দের। গড়পঞ্চকোটের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এমন দৃশ্যই দেখা যাচ্ছে। গোটা এলাকা সেজে উঠেছে কাঠের দুর্গায়। দম ফেলার ফুরসত নেই কাঠের দুর্গাপ্রতিমা শিল্পীদের।
ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। মা দুর্গার আগমনে মেতে উঠেছে আপামর বঙ্গবাসী। পুরুলিয়া জেলার গড় পঞ্চকোটে দুর্গা প্রতিমার এক অনন্য রূপ দেখা গেল। মাটির দুর্গা ছেড়ে এবার কাঠের দুর্গা তৈরি হচ্ছে গড় পঞ্চকোটে। যা নজর কেড়েছে বহু মানুষের। ঘরে, ঘরে শোভা পাচ্ছে এই কাঠের দুর্গা। নিপুণ হস্তশিল্প ভিড় টানছে পর্যটক-সহ জেলার মানুষদের। পুরুলিয়া জেলায় কমবেশি সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। পুজোর সময়তেও পর্যটকেরা নিরিবিলিতে ছুটি কাটাতে আসেন পুরুলিয়াতে। আর গড় পঞ্চকোট পুরুলিয়ার অন্যতম টুরিস্ট স্পট। তাই এখানে একবার হলেও ঢু মেরে যান পর্যটকেরা।
এখন পর্যটকদের জন্য আলাদা আকর্ষণ এই কাঠের দুর্গাগুলি। প্রায় প্রত্যেকে এসেই একটি করে প্রতিমা বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। সোনাঝুরি গাছ থেকে প্রাপ্ত কাঠ দিয়েই তৈরি হচ্ছে মূর্তি গুলি। সোনাঝুরির কাঠ করাত কলে কেটে বাড়িতে নিয়ে এসে সূক্ষ্ম কাজে দুর্গার অবয়ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শিল্পীর নিপুন হাতের ছোঁয়ায় অপরূপ হয়ে উঠছে এক একটি প্রতিমা। এত সুন্দর কারুকার্য সত্যিই ক্রেতাদের মন কারছে। দেখে আপনাদের মনে হতে পারে এই মূর্তির দাম অনেকটাই হবে। কিন্তু সেটা একদম ভুল ধারণা। গড়পঞ্চকোটের শিল্পীরা জানাচ্ছেন, কাঠের মূর্তি গুলির দাম এখন ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ এর মধ্যেই।তবে শীতের মরশুমে এই কাঠের দুর্গার দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা।
এই কাজ করতে সময় লাগে ৭ দিন। শিল্পীরা জানাচ্ছেন, একসাথে ৫টি করে এই কাজ করা হয়। অর্থাৎ একটা কাজে হাত দিলে পাঁচটারই একযোগে দুর্গার মুখ, হাত ফুটিয়ে তোলা হয়। আসলে এভাবে কাজ করলে সুবিধা হয়। ঝাড়খণ্ড ছুঁয়ে থাকা পুরুলিয়ায় সেভাবে কাঠের কোন হস্তশিল্প দেখা যায় না। তবে এখন তাঁদের এই নতুন প্রয়াস পর্যটকদের বেশ নজড় কারছে।বিশেষ করে মায়ের আগমনে কাঠের দুর্গার চাহিদা যেন আরও বেড়ে যাচ্ছে। সেখানে গেলেই দেখা যাবে গড় পঞ্চকোটের বিস্তীর্ণ এলাকা কাঠের দুর্গায় সেজে উঠেছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম