।। প্রথম কলকাতা ।।
Uttam Kumar: কেবল পর্দাতেই নয়, বাস্তবেও মহানায়ক ছিলেন উত্তম কুমার। গোপনে টাকা পাঠাতেন কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাদের। গরিবদের মসিহা ছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার! পর্দা কাঁপানো অরুণ কুমারের এই অচেনা দিক জানা ছিল? জানতেন চেনা উত্তমের এই অচেনা দিক?
একথা আর নতুন করে বলার কী যে, বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের এক অন্যতম কারিগর ছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার। সশরীরে না হলেও নিজের কাজের মধ্যে দিয়েই অমর হয়ে রয়েছেন তিনি। তাকে নিয়ে বাঙালির আবেগ উন্মাদনা আজও সেই প্রথম দিনের মত। আজও অব্যাহত রয়েছে উত্তম ম্যাজিক। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে বড়পর্দায় তিনি যে ক্রেজ তৈরি করেছিলেন তার ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেননি আজকের তারকারা। আচ্ছা আপনি উত্তমের কতগুলো সিনেমা দেখেছেন?
মহানায়কের সিনেমা হয়ত আপনিও দেখেছেন তবে জানেন কি পর্দা কাঁপানোর পাশাপাশি গরিবের মসিহাও ছিলেন তিনি। কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাদের দুশ্চিন্তা দূর করা থেকে শুরু করে দরিদ্র পড়ুয়াদের হাতে খাতা বই ধরিয়ে দেওয়ার মত বহু ঘটনা ঘটিয়েছেন মহানায়ক। কিন্তু আমরা কয়জনই বা জানি সেই কথা?
আসলে মহানায়কের ছিপছিপে ঋজু চেহারা, ভুবন ভোলানো হাসি আর দুচোখের গভীর চাহুনিতেই মন হারিয়েছিল আম বাঙালি। কপালের উপর ওই অবাধ্য চুলের লুটোপুটি দেখে মুগ্ধ হয়েছে বহু রমণী। তবে এটা ছাড়াও যে তার আরও একটা শেড রয়েছে সেটা অনেকেই জানেন না।
যেখানে তিনি মহানায়ক নন। সেখানে তিনি গরিবের মসিহা। যিনি দুঃস্থদের সমস্যা দূর করতে সবকিছু করতে পারেন। শোনা যায় ইন্ডাস্ট্রির অনেক মানুষের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মহানায়ক। যদিও এই সবটাই তিনি করতেন লোকচক্ষুর আড়ালে। এরকমই একটা ঘটনা ঘটেছিল ‘যদুবংশ’ সিনেমার শুটিং সেটেও। জানেন কী হয়েছিল সেদিন?
সেদিন শুটিং চলাকালীন হঠাৎ করেই উত্তম কুমার লক্ষ্য করেন, সেটের উপরের দিকে যে লাইট জ্বলার কথা ছিল সেটি জ্বলেনি। কাজ ছেড়ে লাইটম্যান কালি উদাস চোখে বসে আছেন। নিঃশব্দে গোপনে এই সবটাই লক্ষ্য করলেন উত্তম। শুটিং শেষ হতেই লাইটম্যান কালিকে ডেকে পাঠালেন মেক আপ রুমে। জানতে চাইলেন কী হয়েছে? কালি বাবু জবাব তো দিতেই পারলেন না উলটে ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন। শোনা যায়, মেয়ের বিয়ের চিন্তায় নাকি ঘুম হচ্ছে না তার। জানেন এরপর কী করেছিলেন অভিনেতা? কী মনে হয় আপনার? কী করতে পারেন মহানায়ক?
নাহ্, লাইট ফেলতে ভুলে যাওয়ার জন্য বকাঝকা তো করেননি উল্টে কালিকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন। হ্যাঁ, অত বড় মাপের একজন অভিনেতা এক লাইটম্যানের পিঠে হাত রেখে দিয়েছিলেন সান্তনা। সেই সাথে নিজের বাড়িতে ডেকে খামে ভরে সমস্ত টাকাটাই তুলে দিয়েছিলেন কালির হাতে। তবে কেবল লাইটম্যান কালিই নয়, এমন বহু মানুষ ছিলেন যাদের সাহায্য করেছিলেন মহানায়ক। শোনা যায়, বহু দরিদ্র পড়ুয়ার পড়াশোনার দায়ভারও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। যদিও চেনা উত্তমের এই অচেনা দিকটা অনেকেরই অজানা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম