।। প্রথম কলকাতা ।।
বর্তমান স্মার্টফোনগুলিতে যে ব্যাটারি প্যাক থাকে তা আগের মতো বের করে চটজলদি বদলানো যায়না। কোনও ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে হয় গ্রাহকদের। তবে অদূর ভবিষতে তা আর করতে হবে না। বাড়ি বসেই বদলানো যাবে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের ব্যাটারি। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নীতি নির্ধারকরা একটি নতুন খসড়া পেশ করেছে। যেখানে টেকসই এবং পুনরায় ব্যবহারযোগ্য ব্যাটারি ব্যবহার করার প্রস্তাব রেখেছে তারা।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এর ফলে মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি পুনরায় আগের নিয়মে ফিরে যেতে বাধ্য হবে। অর্থাৎ বদল করা যায় এমন সুবিধাযুক্ত ব্যাটারি ব্যবহার করতে হবে তাদের। এই সংক্রান্ত একটি আইন পাশ করতে পারে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। এখানে বলে রাখা দরকার, এমন পদক্ষেপ প্রথম নয়। কিছুদিন আগেই প্রত্যেক স্মার্টফোনে ইউইসবি টাইপ-সি পোর্ট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছে ইইউ। এমনকি এই আদেশ অ্যাপেলের মতো সংস্থাকেও মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন : 12 মিনিটে ফুল চার্জ! 200MP ক্যামেরার দমদার ফিচার নিয়ে হাজির হল Infinix Zero Ultra 5G
স্যামমোবাইলের রিপোর্ট অনুযায়ী, আসন্ন নতুন আইনটি সমগ্র ব্যাটারি লাইফসাইকেল-কে নিশ্চিত করে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নতুন প্রবিধানটির ফলে প্রযুক্তি সংস্থা এবং ব্যাটারি প্রস্তুতকারকদের কাছে একটি নতুন চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন হতে পারে। এখানে ব্যাটারি লাইফসাইকেল বলতে বোঝানো হয়েছে তার উপাদান নিষ্কাশন, শিল্প উৎপাদন এবং নিষ্পত্তি।
জানা গিয়েছে, এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে ইউরোপ বিক্রি হওয়া সমস্ত ধরণের ব্যাটারির উপর। যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বৈদ্যুতিক ডিভাইজ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যাটারি, অটোমোটিভ ব্যাটারি, টু হুইলার এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারিও। এ ছাড়া
২০২৪ সাল থেকে ব্যাটারি প্রস্তুতকারকদের তাদের পণ্যগুলির মোট কার্বন ফুটপ্রিন্ট রিপোর্ট অর্থাৎ নিষ্কাশন থেকে পুনর্ব্যবহার পর্যন্ত জমা করতে হবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছে।
আরও পড়ুন : ছোট প্যাকেট বড় ধামাকা! 7 হাজার টাকার Lava X3-র সাথে 3 হাজারের ইয়ারবাড ফ্রি
এই নিয়ম যদি লাগু করা হয় তাহলে মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির মুনাফায় যে অনেকটাই প্রভাব পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ গ্রাহকদের ব্যাটারি বদলানোর সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে। অনেকেই তুলনামূলক কম দামে মোবাইল ব্যাটারি ব্যবহার করতে চাইবে।
সংস্থাগুলির তরফে দেওয়া প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ব্যাটারির জন্য সর্বাধিক CO2 নির্গমন সীমা সেট করা হবে। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, নতুন নিয়মটি কেবল কার্বন নির্গমনকে ভালভাবে মূল্যায়ন করার জন্য আনা হচ্ছে না, ব্যাটারি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে মানবাধিকারের পাশাপাশি সরবরাহ শৃঙ্খল, শ্রমিক সমস্যাগুলি শনাক্ত, প্রতিরোধ এবং সমাধান করতেও বাধ্য করবে।