।। প্রথম কলকাতা ।।
Varun Dhawan: নাইট ক্লাবে লিফলেট বিলি করতেন সুপারস্টার বরুণ ধাওয়ান, মাত্র ৩৫ বছরেই ৩৮১ কোটি টাকার মালিক। যার ফিগার ও স্টাইলে ফিদা মেয়েরা। প্রথম ছবিতেই বাজিমাত বলিউডে। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অভিনয় জগতে আসার আগে বরুণ ধাওয়ান কি করতেন জানেন? বিখ্যাত পরিচালকের ছেলে হয়েও নাইট ক্লাবে কাজ করতেন। নেপথ্যে সিক্রেট ফ্যাক্টস। কারণ জানলে একটু আশ্চর্য হবেন।
বলতে গেলে বলিউডে এখন সফল্যের শিখরে বরুণ ধাওয়ান। হাতে একের পর এক ছবি। সম্পত্তির পরিমাণ রীতিমত চমকে দেওয়ার মতো। তিনি মুম্বাইয়ের বান্দ্রার যে বাড়িতে থাকেন তার দাম প্রায় ২০ কোটি টাকা। এছাড়াও রয়েছে বিলাসবহুল বেশ কয়েকটি গাড়ি। ৩৫ বছরের প্রায় ৩৮১ কোটি টাকার মালিক বরুণ। ২০১২ সালে করণ জোহরের হাত ধরে স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার সিনেমায় অভিনয় করেন। বলিউডে হাতেখড়ি দিয়েই বেশি স্ট্রাগল করতে হয়নি। খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বরুনের বিরাট ফ্যান বেস। এক কথায়, বরুণ এখন কোটি কোটি ভারতীয়র হার্টথ্রব। প্রথম ছবিতেই তিনি অভিনয়ের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন।
বরুণ ধাওয়ান, ডাকনাম পাপ্পু। বেশ মজার মানুষ। শুটিংয়ের মাঝে প্র্যাঙ্ক করতে বেশ ভালোবাসেন। তার মজার কথা এনজয় করে সিনেমা কাস্ট এন্ড ক্রু। নিজের চুলের প্রতি একটু বেশি খেয়াল রাখেন বরুণ। প্রায় ঘন্টার পর ঘন্টা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পারফেক্ট লুক পেতে চুল ঠিক করেন। ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন কুস্তিগির হবেন। ভাগ্যের ফেরে এখন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা। প্রথমদিকে প্রত্যেক ছবি পিছু বরুণ ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক দাবি করতেন। কিন্তু ‘জুড়ুয়া ২’ তে ব্যাপক সাফল্যের পর ছবি পিছু প্রায় ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা দাবি করে থাকেন। বিয়ে করেছেন ছোটবেলার বান্ধবী নাতাশা দালালকে।
অভিনয় দুনিয়ায় এতটা সফলতার পরেও তিনি তার অতীতকে ভোলেননি। আসলে বরুণ একটু অন্যরকম মানুষ। ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে অন্যরকম জীবন ছিল বরুণের। মার্কিন মুলুকে পড়াশোনা চলাকালীন তিনি নাইট ক্লাবে লিফলেট বিলি করতে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। অথচ বাবার রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। যদিও সেই দেশে স্টুডেন্টদের এই ধরনের কাজ করা একেবারেই নতুন নয়। এছাড়া বরুণ করণ জোহরের অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। বরুণের বাবা বিখ্যাত পরিচালক ডেভিড ধাওয়ান। স্টারকিড হিসেবে নিজের কেরিয়ার বানাতে চাননি বরুণ। তিনি অভিনয় দিয়ে জিতেছেন ভক্তদের মন। ছোটবেলায় বারংবার বাবার কাছে আবদার করেছিলেন নিজের পছন্দের স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য। কিন্তু তার বাবা সেই আবদার রাখেননি। এক সাক্ষাৎকারে বরুণ জানান, তার বাবা তাকে সব সময় নিজের যোগ্যতায় সাফল্য পাওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি তার কর্মজীবনের প্রথম থেকেই অক্ষরে অক্ষরে সেই মন্ত্র মেনে চলেছেন। বাবার নাম ভাঙিয়ে কোনদিন কিছু করতে চাননি। তিনি আরো বলেন, কিছু বাছাই কাজ করার জন্য নিজের পারিশ্রমিক কমাতেও রাজি আছেন। তার কথায়, নিজের ভেতরের শিল্পী সত্তাকে সন্তুষ্ট করতে না পারলে মুক্তি নেই। তার লক্ষ্য ভালো সিনেমা করা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম