।। প্রথম কলকাতা ।।
Depression: রাতে দুচোখের পাতা এক হত না। দিনের পর দিন ঘুম আসত না। বুঝতেই পারিনি কখন অবসাদ গ্রাস করেছে। এই কথাটা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন অভিনেতা অনুপম খের। তার মতন বহু মানুষ রয়েছন। একটু ভেবে দেখুন কষ্ট লুকিয়েই হয়ত। আমরা বলে থাকি, ‘ভাল আছি’। কিন্তু পর মূহুর্তেই যখন নিজের কাছে।
জানতে চাই সত্যিই কি ভাল আছি? উত্তর আসে- না।
যখন তখন মন খারাপ আপনাকে আঁকড়ে ধরছে। জীবনে চলতে গেলে চিন্তা থাকবেই, তাকে এড়িয়ে বা সরিয়ে এগোনো অসম্ভব। কিন্তু কীভাবে সেই চাপ মোকাবিলা করা যায়?
মন খারাপ করে এক কোণে বসে না। থেকে খারাপ লাগার সাথে যুদ্ধটা কিন্তু আপনার। ভয় না পেয়ে কীভাবে লড়বেন? সব সময় ভাবছেন সকলে ভালো আছে শুধু আপনি একা খারাপ। তাহলে বলবো ভুল ভাবছেন।
মন খারাপ। ঠিক কোন কারণে ভাল লাগছে না, সেটাও বুঝতে পারছেন না। কিন্তু তার সত্বেও আপনাকে কিছু কাজ জোর করে হলেও করতে হবে।
হাসতে ভুলে গেলে হবে না। মন খারাপ হলেও মজার কিছু কথা। কিছু দৃশ্য মনে করে নিজের মনে হাসুন। দেখবেন কতটা হালকা লাগে। এছাড়াও, প্রতিদিন অন্ততঃ একটি গান শুনুন। গান মানসিক চাপ কমায়। গান ব্রেনে ডোপামিন নামে একটি। রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে থাকে। যা আপনার মুডকে উজ্জীবিত করে। মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়।যদি মনে হয় খুব চাপ লাগছে মনের উপর। ভাল লাগছে না একদম সেক্ষেত্রে। ব্রিথিং এক্সারসাইজ বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়্যাম করতে পারেন লম্বা করে দম নিন এবং ধীরে ধীরে দম ছেড়ে দিন। এই ব্যায়ামটি মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে।
কিংবা ডায়রিও লিখতে পারেন। যে কথা কাওকে বলা যায় না, তা লিখে কিন্তু অনেকটা শান্তি পাওয়া যায়। সারা দিনে এমন একটি সময় বার করুন। যে সময়টুকু হবে একান্তই আপনার। যে যে কাজ করতে আপনার ভাল লাগে। তাই করুন এই সময়ে।
অনেক সময় মন খারাপ থাকলে আইসক্রিম, কেক, চাউমিন, মোমো, বিরিয়ানি খেয়ে ফেলেন। এগুলোও ঠিক নয়। সাম্প্রতিকতম গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অন্ত্রে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়লে মানসিক চাপ বাড়ে। অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা মস্তিষ্কে রাসায়নিক উৎপাদন করে, যার মধ্যে মুড-বুস্টিং হরমোন সেরোটোনিন রয়েছে। সুতরাং, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে আপনার মন খারাপ হতে পারে।
অনেক সময় বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিবার-পরিজন, কেউ-ই মনের অসুখে আরাম দিতে পারে না। তখন আরাম দিতে পারে প্রকৃতি। পাহাড়, সমুদ্র কিংবা জঙ্গল। রোজকার জীবন থেকে বিরতি নিয়ে চলে যেতে পারে প্রকৃতির কোলে। তবে মনে রাখবেন, কখনও কখনও মানসিক অবসাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া উপশম সম্ভব নয়। তাই মনের অসুখ কোনও মতেই অবহেলা করা চলবে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম