।। প্রথম কলকাতা ।।
Student Death: বরানগর প্রতিবন্ধী হাসপাতালের হস্টেল থেকে এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। ইমার্জেন্সি ব্যবস্থা না থাকার কারণে ষদ্বিতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়াকে বাঁচানো যায়নি বলেই দাবি অন্যান্য পড়ুয়াদের। যার কারণে এদিন হাসপাতালের গেট বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখান ছাত্ররা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছাতে হয় বরানগর থানার পুলিশকে। তবে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশও।
ঠিক কী ঘটেছিল ঘটনাটি ?
প্রিয়রঞ্জন সিংহ নামে এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় প্রতিবন্ধী হাসপাতালে হস্টেল থেকে। তাঁর রুমমেট সহ অন্যান্যরা যখন প্রিয়রঞ্জনকে উদ্ধার করেন তখনও পর্যন্ত প্রাণ ছিল তাঁর মধ্যে, এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। তবে ওই হাসপাতালে কোন অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা এবং ইমার্জেন্সি ব্যবস্থা না থাকার কারণে প্রিয়রঞ্জনকে নিয়ে যেতে হয় সাগর দত্ত হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর পর সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় প্রিয়রঞ্জনকে।
নীলকন্ঠ ভট্টাচার্য নামে এক পড়ুয়া জানান, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কলেজে নবীন বরণের অনুষ্ঠান ছিল। তাই গতকাল সকালেই ব্যস্ত ছিল সেই সময় রিহার্সাল থেকে উঠে নিজের ঘরে চলে যায় প্রিয়রঞ্জন। বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রিয়রঞ্জন এর রুমমেট ঘরে যান। তিনি দেখেন ভেতর থেকে দরজা আটকানো। বারবার ডাকার পরেও কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় জানলা দিয়ে উঁকি মারতেই প্রিয়রঞ্জনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। তড়িঘড়ি অন্যান্যদের সাহায্য নিয়ে প্রিয়রঞ্জন এর দেহ নামানো হয়।
কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্য চাইলে তাঁরা কোনরকম সহায়তা করেনি। যার কারণে এক পড়ুয়ার বাইকে করে প্রিয়রঞ্জনকে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হাসপাতালের গেট বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখান ছাত্র-ছাত্রীরা। তাদের দাবি, গতকাল যদি হাসপাতালে অক্সিজেন এবং অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকত তাহলে প্রিয়রঞ্জনকে বাঁচানো সম্ভব ছিল। যাদের গাফিলতির জন্য মৃত্যু হল প্রিয়রঞ্জন এর তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবিতে চলছে বিক্ষোভ।
বর্তমানে গোটা হাসপাতাল জুড়ে স্লোগান পোস্টারে ছয়লাপ। দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ার এমন করুণ পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউ। এক ছাত্রের কথায়, তাঁর ঘর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে এবং সেখানে সম্ভবত মানসিক চাপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও ওই পড়ুয়া দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন পড়ুয়াদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে। সবমিলিয়ে বর্তমানে সরগরম বরানগরের প্রতিবন্দী হাসপাতাল চত্বর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম