।। প্রথম কলকাতা ।।
ইউক্রেনে চরম সুযোগ বাইডেনের। আমেরিকার সঙ্গে অস্ত্রের ফর্মুলা সাজাচ্ছে ইউক্রেন। পুতিন এবার গো হারা হারবে? কোন অস্ত্রে ঘায়েল হবে রাশিয়া? মস্কো ব্যাপক চাপে। বিশেষজ্ঞদের প্রেডিকশন ঘুরিয়ে দিচ্ছেন জেলেনেস্কি। পুতিন কি কিয়েভের ট্র্যাপে পা দেবে? রাশিয়ার উপরে বিপদের মেঘ ঘনাচ্ছে। পোল্যান্ড সরলে কী হবে? আমেরিকা তো ঢেলে দিচ্ছে-দেবে। তাই পুতিনকে মাত দিতে দীর্ঘযুদ্ধের মুখে স্ট্রেজি বদলাচ্ছে ইউক্রেন। রাশিয়ার উপর ব্যাক্ত ব্যাক হামলা চালাচ্ছেন জেলেনেস্কি। পুতিন কিন্তু ফিল্ডে ফেল করছেন। কোথায় গলদ?
এখন ইউক্রেনের একটাই টার্গেট। আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এবার ইউক্রেনের মাটিতেই গড়ে উঠবে অস্ত্র তৈরির কারখানা। অলরেডি ওয়াশিংটনে গিয়ে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফেস টু ফেস বৈঠক সেরে ফেলেছেন জেলেনেস্কি। কথা এগিয়েছে অনেক দূর। তাহলে কি বাখমুত রাশিয়ার হাত থেকে পুরোপুরি ছিনিয়ে নিতে এই পথে এগোচ্ছে কিয়েভ?এমনিতেও আমেরিকা লাগাতার সাহায্য করে যাচ্ছে।ঢালাও অস্ত্র দিচ্ছে। উন্নত মানের আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম দেওয়ার কথাও হয়ে গেছে। যে ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেলে রাশিয়ার ভূখণ্ডের ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভিতরে ঢুকে লক্ষ্যবস্তুকে খুব সহজেই আঘাত করতে পারবে ইউক্রেন। আর এবার আমেরিকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ইউক্রেনের মধ্যেই অস্ত্র তৈরির পরিকাঠামো তৈরি করার প্ল্যান করছে। ইউক্রেনের আকাশপথে হামলা প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও বেশি জোরদার হবে।
দীর্ঘ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু সবচেয়ে বেশি দরকার আরও উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। একই সঙ্গে আকাশ পথে হামলা প্রতিরোধ ব্যবস্থাও। কিন্তু এই ওয়াশিংটন সফরে শুধুই কি অস্ত্র কারখানার চুক্তি বাইডেন-জেলেনেস্কির? নাকি আরো বড় ফায়দা ইউক্রেনের? দীর্ঘ সময় ধরে চলা রুশ হামলায় অর্থনৈতিক ভাবে পুরোপুরি বিধ্বস্ত ইউক্রেন! দেশেই অস্ত্র তৈরির কারখানা নির্মাণ হলে বহু বেকার যুবক চাকরি পাবে। দেশের আর্থিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন হবে। জেলেনেস্কি বলছেন, এই ওয়াশিংটন সফর তাঁর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
এর ফলাফল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। আমেরিকার হাত ধরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নতুন ইকো-সিস্টেম তৈরি করবে ইউক্রেন কিয়েভ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন হঠাত ইউক্রেনের এই ঘুরে দাঁড়ানো এটা কিন্তু একেবারেই আশা করা যায়নি। আর গ্রাউন্ড ফ্যাক্ট বলছে টানা তিন মাস কঠিন আক্রমণের মুখে পড়ে রুশ বাহিনী অনেকটাই ক্লান্ত সম্ভবত কিছুটা নিরাশ ও বটে। তবে, মনে রাখতে হবে খেলা এখনও অনেক বাকী। কারণ, পুতিন চাইছেন, যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য করতে করতে ক্লান্ত, তিতিবিরক্ত হোক পশ্চিমা বিশ্ব। তেমন ভাবনা চিন্তা নিয়ে এগোলে এই যুদ্ধ আরো লম্বা হবে। তাই, আগামী দিনের কথা মাথায় রেখে দুপক্ষেরই স্ট্রাটেজি বদল ছাড়া উপায় নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম