।। প্রথম কলকাতা ।।
Turkey And Syria Earthquake: তুরস্ক (Turkey) আর সিরিয়াতে (Syria) এখন শুধু মৃত্যুর হাহাকার। সোমবার ভোররাতে ঘটা ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) মৃত্যুর সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে প্রায় ২১ হাজার। এই সংখ্যা এখনো বাড়তে পারে। সোমবার ঘরে যখন সবাই নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিলেন, তখন হঠাৎ তুরস্ক আর সিরিয়া রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। সেই ভয়াবহ তাণ্ডবলীলায় হুড়মুড়িয়ে তাসের ঘরের মতো মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে প্রচুর বহুতল। উদ্ধার কার্য চালিয়ে যেন শেষ করা যাচ্ছে না।
তুরস্কের সরকারি তরফ থেকে যেভাবে উদ্ধারকার্য চলেছে সেক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বহু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি। দেশটির প্রেসিডেন্ট এই বিষয়ে জানিয়েছেন, আসলে হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য কোন ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়। হিসাব অনুযায়ী, লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন। যত সময় বাড়া বাড়ছে ততই জীবন্ত মানুষের উদ্ধারের আশঙ্কা কমে আসছে। একে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়, অপরদিকে বাধা সৃষ্টি করছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। তুরস্কে এখন কনকনে ঠান্ডা, তার উপর তুষারপাত। বহু জায়গায় তুষারপাতের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তীব্র ঠান্ডার মাঝে সদ্য ঘর হারানো অসহায় মানুষগুলো খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন। অপরদিকে উদ্ধারকর্মীরা প্রাকৃতিক পরিবেশকে উপেক্ষা করে সমানতালে দিন রাত জেগে কাজ করে চলেছেন। এই আশায়, যদি ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে কোন জীবিত প্রাণ উদ্ধার করা যায়। তুরস্ক সিরিয়ার বহু এলাকায় মহাসড়ক ধসে পড়ার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ। দুই দেশের এই বিপদে ইতিমধ্যেই ভারত থেকে সহায়তা পৌঁছে গিয়েছে। তুরস্কে ভারতের এনডিআরএফ (NDRF) এর দুটি দল উদ্ধার কাজে সাহায্য করছে, পাশাপাশি রয়েছে মেডিক্যাল সহায়তা।
ভূমিকম্পের ৭২ ঘণ্টা পার হতেই ধীরে ধীরে নিভে আসছে সব আশার আলো। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। অধিকাংশ মানুষের জীবন প্রদীপ নিভেছে ধ্বংসস্তূপের নিচে। দুর্ঘটনার এতক্ষণ পর ধ্বংসস্তূপের নিচে জল, খাবার, পর্যাপ্ত অক্সিজেন ছাড়া বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। যদিও উদ্ধারকর্মীরা আশা ছাড়েননি, তারা সমান তালে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ২১ হাজার। অপরদিকে আহতর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজারের বেশি। তুরস্ক আর সিরিয়ার হাসপাতালের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বডি ব্যাগ। ভূমিকম্পের এই ভয়াবহতা কোন বয়স মানেনি। দুধের শিশুরাও পর্যন্ত মারা গিয়েছে। ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের নিচে কেউ বেঁচে থাকলেও এইভাবে টানা ৭২ ঘন্টা খাবার, জল ছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। ঘটনা স্থল থেকে উঠে আসছে একের পর এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। বহু দেশ তুরস্কের এই ভয়াবহ বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম