।। প্রথম কলকাতা।।
Tulsi Mala : হিন্দুধর্মে বেশ কিছু গাছ রয়েছে যাদের মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে বিভিন্ন পুরাণে। তার মধ্যে থেকে কিছু গাছ হল ঔষধি এবং কিছু গাছকে দেবতা রূপে পুজোও করা হয়ে থাকে । তার মধ্য থেকে অন্যতম একটি গাছ হল তুলসী ( Tulsi) । এটি একদিকে যেমন ঔষধি গাছ তেমনি তুলসী গাছকে প্রত্যেকটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাড়িতে পুজো করা হয়ে থাকে । আয়ুর্বেদ ( Ayurveda) ঔষধ তৈরিতে এই তুলসীর ব্যবহার করা হয় ভারতে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে থেকে। এছাড়াও তুলসী পাতার ব্যবহার রয়েছে হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরিতে।
ভারতে বিভিন্ন ধরনের তুলসী দেখতে পাওয়া যায় । কৃষ্ণ তুলসী, মিষ্টি তুলসী, দুলাল তুলসী, কর্পূর তুলসী, সাধারণ বা রাধা তুলসী প্রভৃতি । তবে বেশিরভাগ বাড়িতেই দেখতে পাওয়া যায় রাধা তুলসী। প্রচলিত লোক বিশ্বাস অনুযায়ী, এই গাছটি যে বাড়িতে থাকে সেখান থেকে নেতিবাচক শক্তিকে ( Negative Energy) দূরীভূত করতে পারে । পরিবারের সকল সদস্যের জীবনে অগ্রগতিকে বজায় রাখে এই তুলসী গাছ। এছাড়াও তুলসী গাছের শাখা শুকিয়ে সেই তুলসী কাঠের মালা পরেন অনেকে। কিন্তু তুলসী কাঠের মালা চাইলেই পরা যায় না। তার বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে।
তুলসীর মালা ধারণের বিভিন্ন নিয়ম
যারা তুলসীর মালা ( Tulsi Mala) পরবেন তাদেরকে মাংস এবং অ্যালকোহল একেবারেই বর্জন করতে হবে। তুলসী কাঠের মালা পরলে সাত্ত্বিক খাবার খেতে হয় । মাছ, মাংস, রসুন, পেঁয়াজ, ডিম ইত্যাদি খাওয়া যায় না। তুলসীর মালা যারা পরেন তাদেরকে প্রতিদিনই বিষ্ণু মন্ত্র জপ করতে হয় । যখন ইচ্ছে হল তুলসীর মালা পরলাম এবং যখন ইচ্ছা হল সেটি খুলে রেখে দিলাম, এমনটা করা যায় না। তুলসীর মালা পরার আগে সেটাকে গঙ্গা জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হয় । আর তারপর জল শুকিয়ে গেলে মালাটি পরতে হয়। যিনি রুদ্রাক্ষের মালা পরে রয়েছেন তিনি একসঙ্গে তুলসীর মালা পরতে পারবেন না। এটাকে অশুভ বলে মনে করা হয়। অনেকেই এমন রয়েছেন যাদের গলায় কোন মালা পরতে অসুবিধা হয়। সে ক্ষেত্রে তুলসীর মালাতেও সেই একই ধরনের সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। কাজেই তাঁরা চাইলে ডান হাতে তুলসীর মালা মুড়ে রাখতে পারেন। তবে প্রতিদিন প্রত্যেকটি মানুষেরই কিছু রুটিন মাফিক কাজ থাকে। সেই কাজগুলি করার সময় তুই নিজের মালাটিকে খুলে পবিত্র কোন জায়গায় রাখতে হবে। আবার গঙ্গা জল দিয়ে ধুয়ে তারপরে পরিধান করতে হবে।