।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারতকে POK নিয়ে চরম ঝটকা দেওয়ার চেষ্টা চীনের। চীনের ক্ষমতা দেখে হাসছে দিল্লি। পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত হাত পাতল মোদীর কাছে। পুতিনের কথা মেনে আফসোসের শেষ নেই বেজিংয়ের। শি জিনপিংয়ের একের পর এক খেল চৌপাট করেছেন মোদী। ভারতের মাথায় হাত বুলিয়ে বোকা বানানো যায়নি। এবার কি এসসিও থেকে দিল্লিকে বের করে দেবে বেজিং? ভারত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে থাকলে চীনের অর্থনৈতিক বিপদ বাড়বে কয়েকগুণ। বুঝে গেছে চীনের থিঙ্ক ট্যাঙ্কেরা। POK নিয়ে আর পাও এগোন মোদী চাইছে না জিনপিং।
ভারতকে SCO থেকে বের করার পরিকল্পনা হলে রাশিয়া কি চীনের সঙ্গে দেবে? কূটনৈতিক মহল বলছে এমন ভুল ভুলেও করবেন না পুতিন। গ্লোবাল টাইমস চীনের সরকারী নিউজে ভারতকে ট্রাবল মেকার বলা হচ্ছে। এর মানে যারা ইচ্ছে করে সমস্যা তৈরি করে। বলা হচ্ছে ভারত চীনের বিরোধীতার করার চক্করে বোকার মতো সুযোগ মিস করছে। এর মানে দিল্লির এবারের কূটনীতিতে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে বেজিংয়ের ভিতরে। বিআরআই নিয়ে মোদীর বড় ধাক্কা পর কতটা চাপ তৈরি হচ্ছে ড্রাগনের দেশে? শেষে পাকিস্তান কিনা হাত জোড় করল ভারতের সামনে৷ পাকিস্তান চায় ভারত CEPC তে নিজেদের সমর্থন জানাক। ইসলামাবাদের এমন বোকার মতো দাবি ফুত্কারে উড়িয়ে দেবে দিল্লি।
চিনের তাবড় তাবড় কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ, চিনের থিঙ্ক ট্যাঙ্কেরা মনে করছেন। এসসিও গ্রুপে ভারত যে খেল দেখাচ্ছে তাতে এসসিও গ্রুপের বাকি দেশগুলোকে ভারত থেকে বাঁচাতে হবে। কেন এমন কি করেছে ভারত? দিল্লি নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে চীনের ইকোনমিক ডেভলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজিতে বাধা দিয়েছে। ইকোনমিক ডেভলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টই হল বিআরআই। যার একটা অংশ POK র ভিতর দিয়ে গিয়েছে। এই প্রজেক্টকে ভারতের কৌশলে প্রত্যাখান নাড়িয়ে রেখে দিয়েছেন লাল সুলতানকে। তাই সেখানকার বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি ভারতরে এসসিও থেকে বের করে দেওয়া উচিত। কিন্তু এত ক্ষমতা কি চীনের হাতে রয়েছে সেটাই হল আসল প্রশ্ন। ২০১৭ সালে কিছু মার্কিন বিশেষজ্ঞরা লিখেছিলেন রাশিয়ার কথা মেনে নিয়ে একদিন আফসোস করবে চীন। কারণ ২০১৭ সালেই পুতিন চীনকে রাজী করিয়েছিল সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে ভারতের অন্তর্ভুক্তির। তীব্র বিরোধ সত্ত্বেও রাশিয়ার কথা যখন শুনতেই হয়েছিল চিনকে তখন জিংপিং পাল্টা খেলা খেলেছিলেন। ভারতকে সবক শেখাতে পাকিস্তানকেও এই গ্রুপে সামিল করেছিল চীন।
৬ বছরে বদলে গেছে সময়। ভারত এখন পাকিস্তান নয় সোজা চ্যালেঞ্জ করছে চীনকে। যা নিয়ে রীতিমত অস্বস্তি বাড়ছে বেজিংয়ের। সবথেকে বড় কথা বিশ্লেষকেরা বলছেন বেজিং যা ভাবছে বা লিখছে সেটা বাস্তবে করাটাই হল সবথেকে চাপের। কারণ এসসিও যতটা চিনের ততটাই ভারতের চিনের মতো ভারতও এই গ্রুপের পার্মানেন্ট সদস্য তাই জিনপিং চাইলেও এসসিও থেকে সরাতে পারবে না ভারতকে। আর সবথেকে বড় কথা এমন পরিস্থিতি বাস্তবে এলে পুতিন সমর্থন করবেন না জিনপিংকে। কারণ মস্কো বেজিংয়ের যতই বড় বন্ধু হোক না কেন কোনওদিনই তারা চায় না এসসিওর সব নীতিতেই চীনের বড় প্রভাব থাকুক। ভারতের মতো নিরপেক্ষ শক্তিও এসসিওতে থাকা দরকার সেটা চায় রাশিয়া। নয়ত চীন কোনদিন রাশিয়ার ওপর চড়াও হয়ে যাবে বিশ্বাস নেই৷ মোদ্দা কথা ভারত নিজে না চাইলে।এসসিও থেকে ভারতকে সরাতে পারবেনা চীন-পাকিস্তান কোনও শত্রুই তাই বেজিংয়ের এমন স্বপ্ন গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম