।। প্রথম কলকাতা ।।
লুপ্তের পথে ঐতিহ্য! ডিজে আর আধুনিক মিউজিকে হারিয়ে যাচ্ছে ব্যান্ড পার্টি। ভীষণ সংকটের মুখে এই শিল্প।গায়ে বাহারি রঙের পোশাক। টুপিতে রঙিন পালক। বাদ্য বাজিয়ে সারি বেঁধে এগিয়ে যাচ্ছে একটি দল। কর্নেটে বাজছে সুর, সঙ্গে ড্রামের কম্পন, করতালের ঝনঝন আর ট্রাম্পেটের তীক্ষ্ণ সুর মিলে যেন এক ত্রিমোহনী। গম গম করছে পুরো রাস্তা। যাদের নাম ‘ব্যান্ড পার্টি’। একটা সময় এটাই ছিল পুজো, বিয়ে বা যেকোনো অনুষ্ঠানের মিউজিক। ব্যান্ড পার্টি ছাড়া পুজো ভাবাই যেত না। তবে এখন আর সেই রমরমা টা আর নেয়।
একটা সময় পুজো হোক বা বিয়েবাড়ি— সুর মেলাতে সবার আগে ডাক পড়ত তাঁদেরই। কিন্তু এখন ডিজে-র যুগে আকর্ষণ ফিকে হয়েছে বেশ খানিকটা। সময়ের সঙ্গে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সুরের এ ধ্বনি তরঙ্গ।চাহিদা কমছে তাঁদের। কখনও তাঁরা ডাক পাচ্ছেন তো কখনো পাচ্ছেন না! ফলে সারা বছর তাঁদের আয় হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই বেছে নিতে হচ্ছে অন্য পেশা। কেও রিকশা চালাচ্ছেন তো কেও অন্য কোনও দিন মজুরের পেশা বেছে নিচ্ছেন। আর এই টালমাটাল অবস্তায় ভবিষ্যত প্রজন্ম যে সাদরে গ্রহণ করবে এই পেশা, তার খুব একটা আশা দেখা যাচ্ছে না।
তবুও তিন-চার পুরুষের পেশা এখনও ছাড়েননি অনেক বাজনাদারই। গ্রাম থেকে আসা বিভিন্ন শিল্পী নিয়ে আজও তাঁদের ব্যান্ড পার্টি বাঁচিয়ে রেখেছেন। তবে কাজ সারাবছর থাকে না। বছরে দু চার বার ডাক পড়লে তখনই পাড়ি দিতে হয় বাজনার উদ্দেশ্যে! তবে কি এই পুরোনো ঐতিহ্যটাকেও মানুষ হারাতে বসেছে? কালোক্রমে এই শিল্প টাও কি বিলীন হয়ে যাবে রেডিও বা গ্রামোফোনের মতো? আসতে আসতে সত্যিই কি পুজো মণ্ডপে আর দেখা যাবে না ব্যান্ড পার্টিকে? আধুনিকতার সাথে তাল মেলাতে হয়তো ডিজে মিউজিককেই অভ্যেস করে নিতে হবে। কালোক্রমে মানুষ আরও একটা ঐতিহ্যকে হয়তো সত্যিই হারিয়ে ফেলবে!
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম