।। প্রথম কলকাতা ।।
Parthenium: আমার আপনার বাড়ির আশেপাশেই জন্ম নিচ্ছে বিপজ্জনক উদ্ভিদ। তিল তিল করে আমাদের শেষ করে দিচ্ছে। আমরা জানি এই গাছ ক্ষতিকর কিন্তু আমরা অততাও সচেতন হতে পারিনি। গাছ আমাদের জীবন কিন্তু পার্থেনিয়াম উদ্ভিদ জীবন শেষ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট জানেন তো? বিপদ থেকে আমরা রক্ষা পাবো কী করে? এই উদ্ভিদে হাত দিলে ক্যান্সার হবে। পুনেতে এই উদ্ভিদের বিষক্রিয়ায় এখনও পর্যন্ত ১২ জন মারা গেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মৃত্যু দেখতে হবে শুধু মাত্র এই উদ্ভিদের জন্য।’পার্থেনিয়াম’ যা সূর্যমুখী উপজাতির উদ্ভিদ।
এই গাছের জন্ম মেক্সিকোতে হলেও বিপদজনক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই উদ্ভিদ। এই পার্থেনিয়াম গাছ বাঁচে তিন থেকে চার মাস। এই সময়ের মধ্যেই তিনবার ফুল ও বীজ দেয়। পার্থেনিয়ামের একটি গাছ ৪ থেকে ২৫ হাজার বীজের জন্ম দিতে পারে। আর এই বীজ এতই ছোট যে খুব সহজেই বাতাসে মিশে যেতে পারছে। কেন এতো বিপদজনক এই গাছ, পার্থেনিয়ামে রয়েছে মারাত্মক বিষ। পার্থেনিয়াম ফসলের উৎপাদন প্রায় চল্লিশ শতাংশ কমিয়ে দিচ্ছে। পার্থেনিয়াম আগাছাযুক্ত মাঠে গবাদি পশু চরানো হলে পশুর শরীর ফুলে যাচ্ছে। পার্থেনিয়াম হাতে-পায়ে লাগলে হাত-পা চুলকাতে শুরু করবে লাল হয়ে যাবে। ত্বকের ক্যান্সার ডেকে আনবে।
১০ মিটার দূর থেকেই পার্থেনিয়াম ইফেক্ট ফেলে। ফুলের রেণু এলার্জি, হাঁপানি, চর্মরোগ, ব্রঙ্কাইটিস তৈরি করছে। এই আগাছার কারণে বর্তমানে ৭০ শতাংশ মানুষের চর্মরোগ হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ও বিভিন্ন ভাবে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এই গাছ বাড়ির আশেপাশে থাকল্র তা ধ্বংস করার উপায়ও বলে দেওয়া হচ্ছে। পার্থেনিয়াম গাছের গায়ে কেরোসিন স্প্রে করলে পার্থেনিয়াম খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হবে। বাড়ির কাছাকাছি থাকলে আজই নষ্ট করুন এই আগাছার । ৪ থেকে ৫ লিটার জলে ১ কেজি নুন ভালো করে মিশিয়ে গাছের পাতায় ও গোড়াতে স্প্রে মেশিনের সাহায্যে স্প্রে করলে ২ দিনের মধ্যে পার্থেনিয়াম গাছগুলো নষ্ট হবে।
নিজের ও নিজের পরিবারের স্বার্থে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে চলুন
১. পার্থেনিয়াম গাছে কোনো ভাবেই হাত দেবেন না এবং বাড়ির বাচ্চাদের দূরে রাখুন।
২. পার্থেনিয়াম সাফাই অভিযানে সবসময় মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে থাকবেন। এছাড়া ফুলহাতা জামা ও ফুলপ্যান্ট পরে থাকা ভালো।
আমাদের অসচেতনতার সুযোগ নিয়েই পার্থেনিয়াম এত দ্রুত বংশবিস্তার করছে। তাই সকলের কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনারা নিজেদের চারপাশ পার্থেনিয়াম মুক্ত রাখুন, এই বিষয়ে সচেতনতা ছড়ান ও নিজেরা সুস্থ থাকুন। মারাত্মক বিপদে পড়বো আমরা এই আগাছা নষ্ট না করা গেলে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম