।। প্রথম কলকাতা ।।
Humayun Kabir: একজন ভারতীয় বাঙালি শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক এবং দার্শনিক ছিলেন হুমায়ুন কবির। তিনি রাজনীতির ময়দানেও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার সামলেছেন। কলেজ জীবন থেকেই ছাত্রনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ তাঁর। তবে পরবর্তীতে সাহিত্য জগতে পদার্পণ। আজ জন্মদিন (Birthday) হুমায়ুন কবিরের (Humayun Kabir)। তিনি অবিভক্ত বাংলার ফরিদপুরের কোমরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ শাসনাধীন দেশে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত হয়ে যে সকল ব্যক্তিত্বরা পরবর্তীকালে স্বাধীন ভারতের প্রশাসনিক দিক নির্দেশনায় ব্রতী হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম এক নাম হল হুমায়ুন কবির।
১৯০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কবিরুদ্দিন আহমেদের ঘরে। হুমায়ুন কবির নওগাঁর কে ডি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক উত্তীর্ণ হন ১৯২২ সালে। তারপর ১৯২৪ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ইংরেজিতে অনার্স সহ এম এ ডিগ্রি লাভ করেন তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। পড়াশোনা শেষে কোন সরকারি চাকরিতে যোগ দেননি তিনি বরং উচ্চতর শিক্ষা লাভের আশায় ১৯২৮ সালে বৃত্তি নিয়ে চলে যান অক্সফোর্ডে (Oxford)।
ছাত্র জীবনে তিনি নিজেকে একজন তুখর নেতৃত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আর ১৯৪৬ সালে পাকাপোক্তভাবে রাজনীতির (Politics) ময়দানে নামেন তিনি। ওই বছর কংগ্রেস সভাপতি মৌলানা আবুল কালাম আজাদের আমন্ত্রণে তাঁর একান্ত সচিব হিসেবে যোগদান করেন হুমায়ুন কবির। ১৯৫৬ সালে তিনি ভারতীয় রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু তাকে কেন্দ্রীয় সিভিল এভিয়েশনের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন। তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১৯৫৮ সালে। এছাড়াও বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
রাজনীতি ছাড়াও তাঁর জীবনে সাহিত্যচর্চার একটা বড় গুরুত্ব রয়েছে। লেখালেখির জগতে তাঁর আত্মপ্রকাশ হয় সম্পাদক হিসেবে। স্কুল-কলেজে পড়াকালীন ম্যাগাজিন, পত্র-পত্রিকা লিখতেন তিনি। অক্সফোর্ড থেকে দেশে ফিরে এসে ১৯৩২ সালে ‘বারোমাসি’ নামক একটি পত্রিকার সম্পাদনা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ গুলি হল ‘স্বপ্নসাধ’, ‘সাথী’, ‘অষ্টাদশী’ প্রভৃতি । এছাড়াও তাঁর কিছু রচনাবলী হল ‘নদী ও নারী’, ‘ইমানুয়েল কান্ট’, ‘শরৎ সাহিত্যের মূল তত্ত্ব ‘,’বাংলা কাব্য’, ‘মির্জা আবু তালিব খান’, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’, ‘মার্ক্সবাদ’ প্রভৃতি। দেশে-বিদেশে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯৬৯ সালের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম