।। প্রথম কলকাতা।।
Pradyot Deb Barman: ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে ।আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার প্রায় ২৫টি কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা তিপ্রা মোথা পার্টি এখন ত্রিপুরার ৬০ আসনের মধ্যে অন্যতম প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের আঙিনায় অন্যান্য রাজনৈতিক দল সহ কেন্দ্রের নজরে ছিলেন ত্রিপুরার রাজবংশের সন্তান তথা রাজ্যের প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান প্রদ্যোৎ দেববর্মণ ( Pradyot Deb Barman) ।
প্রথমে যদিও বড়সড় তুরুপের তাস ফেলেন তিপ্রা মোথা পার্টির ( Tipra Motha Party) প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোৎ দেববর্মণ। তিনি জানিয়েছিলেন, তাদের পৃথক ত্রিপুরা ( Tripura) রাষ্ট্রের দাবি যে দল মেনে নেবে এবং লিখিতভাবে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেবে তাদের সঙ্গেই জোট করবেন তিনি। কিন্তু গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার তিপ্রা মোথা পার্টির প্রধান জানিয়েছেন, তাঁরা একক শক্তিতেই বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবেন । তাদের দাবি, ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যেই ‘গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড’ রাজ্য পৃথক করে দিতে হবে কেন্দ্রকে। সম্প্রতি এই নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মণকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আহ্বান জানিয়েছিলেন । তবে সেখানে আলোচনার পরেও নিজেদের দাবিটা অনড় তাঁরা। এককভাবে নির্বাচনের লড়াই করার কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন।
* ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সন্তান প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেব বর্মণ
প্রদ্যোৎ দেব বর্মণ দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করলেও বর্তমানে থাকেন ত্রিপুরার আগরতলায় তিনি ত্রিপুরার রাজ পরিবারের বর্তমান প্রধান। তাঁর পিতা মহারাজা কিরীট বিক্রম কিশোর দেববর্মণ। বর্তমানে প্রদ্যোৎ দেব বর্মণ আদিবাসী প্রগতিশীল আঞ্চলিক জোট অর্থাৎ তিপ্রা মোথার চেয়ারম্যান। মূলত এই দল ত্রিপুরার আদিবাসী ত্রিপুরী জনগণের অধিকার নিয়ে সক্রিয় ভাবে কাজ করে থাকে। ২০১৮ সালে ত্রিপুরার সাতটি আসনের মধ্যে নয়টি আসনের লড়াই করে আটটিতে জয়লাভ করেছিল এই তিপ্রা মোথা পার্টি। কাজেই শাসক জোটে রয়েছে এই পার্টি।
প্রদ্যোৎ দেব বর্মণের পরিবারের সকলেই কমবেশি রাজনীতির আঙিনায় পরিচিত মুখ। তাঁর বাবা মহারাজ কিরীট বিক্রম এবং মা বিভু কুমারী দেবী দুইজনেই কংগ্রেস দলের আদর্শ মেনে রাজনীতি করেছেন । তাঁর মা হাজার ১৯৮৩ এবং ৮৮ এর বিধানসভা নির্বাচনে মাতাবাড়ি ও আগরতলা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন। তাঁর বাবা ১৯৬৭ , ১৯৭৭ এবং ১৯৮৯ সালে লোকসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। তিনিও এক সময় কংগ্রেস এই ছিলেন। তবে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সাথে ২০১৯ সালে তাঁর বিবাদের পর তিনি সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কিছুটা সময় রাজনীতি থেকে বিরতি নিয়েছিলেন । আর তারপর তিপ্রা মোথার মাধ্যমে ত্রিপুরী জনগণের স্বার্থে কাজ করেন তিনি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম