।। প্রথম কলকাতা ।।
প্রায় বুক সমান জল বিষাক্ত সাপ এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। গত ৬ দিন ধরে এভাবেই জলে ডুবে রয়েছে বাংলার এই গ্রাম। যা দেখলে আপনার পুকুর মনে হতেই পারে। বন্যার জলে বাড়িঘর সব ডুবে গেছে পেটে খিদের জ্বালা। ঘরে নেই পর্যাপ্ত খাবার! পানীয় জলের কষ্ট কীভাবে জলের মধ্যে এই অভাবী মানুষগুলোর দিন কাটছে জানুন। কোথাও হাঁটু জল, তো কোথাও আবার বুক সমান। যে দিকেই চোখ যায় শুধু জল আর জল।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। বৃষ্টি কমলেও বৃষ্টির জমা জল গ্রাম থেকে এখনও বের হয়নি। টানা বৃষ্টির জমা জলে প্রতি দিন আতঙ্কে কাটাতে হচ্ছে ওই এলাকার মানুষকে। জল নামার কোনও লক্ষণ নেই। কেউ স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন তো কারোর আবার এই জলেই দিন কাটছে। পানীয় জলেরও হাহাকার স্থানীয় প্রশাসন পানীয় জলের ব্যবস্থা করলেও তা অনেক দূরে। বড় রাস্তা থেকে জল নিতে গেলে বুক সমান জল পার হতে হচ্ছে। রীতিমত দিশাহারা গ্রাম বাসিন্দারা।
উত্তরবঙ্গের প্রায় সর্বত্র প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। ফল উত্তরবঙ্গের নদীগুলি কম-বেশি সব কটিই প্রায় ফুঁসছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রধান তিন নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সহজে রাস্তাঘাট থেকে জল নামছে না। টাঙ্গন নদীর জল বিপদ সীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। জেলার অপর দুই নদী পুনর্ভবা ও আত্রেয়ীর জলস্তরও অনেকটাই বেশি তাতেই বেশ কিছু এলাকায় জল রয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীরা একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন কিন্তু সেই স্কুলের মেঝেতেও জল।
বর্ষার ছুটির ঘণ্ট বেজে গিয়েছে। তবে এরই মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে জেলায় জেলায়। আর তাতেই দক্ষিণ দিনাজপুরের কপালে বড় ভোগান্তি। জল নেমে যাবে আর কদিন বাদে। কিন্তু এই মানুষগুলোর জীবনে দেখা অন্ধকার দিনগুলো রয়ে যাবে।সেই কষ্টকে বুকে আঁকড়ে ধরেই সারা জীবন বেঁচে থাকবে বংশীহারী ব্লকের মানুষরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম