।। প্রথম কলকাতা ।।
Hilsa: এবার কৌটোয় মিলবে সুস্বাদু পদ্মার ইলিশ। দামও থাকছে একদম মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে। প্রতিটি কৌটোয় কতগুলো মাছের টুকরো পাবেন? কত গ্রাম মাছ থাকছে? কোথায় পাবেন ? ইলিশ মানেই জিভে জল। খাদ্য রসিক বাঙালির কাছে ইলিশ একটা আবেগ, একটা সুখকর অনুভূতি। সেই ইলিশ পদ্মার হলে তো কথাই নেই। কিন্তু তা মেলে বর্ষার মরশুমে। কিন্তু যদি বলি এবার ইলিশ মিলবে বেশ কয়েক মাস। চাইলেই মিলবে আপনার নাগালের মধ্যে।
মাছে ভাতে বাঙালির অন্যতম প্রিয় মাছ ইলিশ। তা যদি বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ হয় তো বাঙালির ষোলোকলা পূর্ণ। এই রুপোলী ফসল পছন্দ করে না এমন বাঙালি বোধ হয় খুব কমই আছে। ইলিশ ভাপা, সর্ষে ইলিশ, দই ইলিশ, ইলিশ পাতুরি, ইলিশ বিরিয়ানি, ইলিশ মাছ ভাজা কিংবা যদি হয় ইলিশের ডিমের পদ। স্বাদে গন্ধে এই মাছের রাজকীয়তাই আলাদা। অনেক সময় ইলিশ মেলে অল্প। তখন অত্যাধিক দামের জন্য ইলিশ অধরা থেকে যায় অনেকের। এবার সব চিন্তার অবসান। মোহনায় ইলিশের ঝাঁক ধরা পড়ল কিনা বা বাংলাদেশ থেকে কবে আসছে ইলিশ – সেসব আর না ভাবলেও চলবে।
এবার থেকে কৌটোয় মিলবে প্রক্রিয়াজাত ইলিশ। আমরা টাটকা মাছে ভরসা রাখলেও কৌটোয় মাছ বিক্রি বিদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়।এবার শপিং মলে কৌটোয় পাবেন বাংলাদেশের ইলিশ। সম্প্রতি বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ইলিশ প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। তাতেই কৌটোয় ইলিশ মেলার আশার আলো দেখা দিয়েছে।
মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। তবে ইলিশ উৎপাদনে তারা প্রথম। বিশ্বে মোট ইলিশ উৎপাদনের ৭৫ শতাংশই হয় বাংলাদেশে। গবেষণার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, ইলিশ ও টুনা মাছ কৌটোয় তিন মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাচ্ছে। এই সময়সীমা আরও বাড়াতে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বাংলাদেশে টুনা মাছ তেমন জনপ্রিয় না হলেও উপকূলীয় এলাকায় বিপুল পরিমাণে টুনা মাছ ধরা পড়ে। বাজারে এই মাছ খুব কম দামে বিক্রি হয়। কিন্তু কৌটোজাত টুনা মাছ বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ঠিক তেমনই ইলিশকেও কৌটোজাত করে রপ্তানির পরিকল্পনা নিচ্ছে বাংলাদেশ।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এমনভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হবে যাতে মাছের টুকরো না ভাঙে। প্রক্রিয়াকরণের পর কাঁটা নরম হবে। তার ফলে খেতে সমস্যা হবে না। কাঁটার ভয়ে যারা ইলিশ এড়িয়ে চলেন এবার হাত বাড়াবেন তাঁরাও। ইলিশের এই নরম কাঁটা দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করতে সহায়তা করবে। কৌটো খুলেই মাছ রান্না করা যাবে। শুধু দুই থেকে তিন মিনিট গরম করে নিতে হবে। তাতে মাছ আরো বেশি সুস্বাদু হবে। কৌটোর ইলিশে মাথা ল্যাজা থাকবে না। ২০০ গ্রাম মাছ থাকবে একটি কৌটোয়। একটি কৌটোয় ইলিশ থাকবে চার পিস। দাম পড়বে ৩২০ টাকার মতো।
তাহলে ইলিশের জন্য আর বর্ষা পর্যন্ত অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। বর্ষার তিন মাস পরও চাইলেই রাঁধতে পারবেন জিভে জল আনা ইলিশের পদ। দামও নাগালের মধ্যে। তাই চারজনের পরিবারে সপ্তাহে একদিন জমিয়ে ইলিশ খাওয়া যেতেই পারে এবার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম