।। প্রথম কলকাতা ।।
Weight control Tips: ক্রমশ বাড়ছে ওজন। রোজকার ডায়েটে পুষ্টিকর খাবার যোগ করার পরেও কিছুতেই ওজন নিয়ন্ত্রণে (weight Control) আনা সম্ভব হচ্ছে না । আজকাল ওজন নিয়ে সকলেই খুব সচেতন। কারণ স্থূলতা (Obesity) বিভিন্ন ধরনের রোগ ডেকে নিয়ে আসতে পারে। এই কারণে মোটা হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে ভয় পান সকলেই। শারীরিক জটিলতা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য ওজন কম রাখার চেষ্টা করা হয় বিভিন্নভাবে। অনেকে মনে করেন মোটা হয়ে যাচ্ছি মানে রোজকার খাবার থেকে ভাতকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। তবে যারা ভাতপ্রেমী তাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত বড়ই কষ্টকর।
এমন যদি হয় যে ভাত খেয়েও আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন তাহলে সোনায় সোহাগা। ভাত নিয়ে অনেকেরই দুর্বলতা রয়েছে। অন্তত এক বেলা তাদের পাতে ভাত চাই-ই চাই। তাই প্রথমেই ভাত বাদ দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসলে মন খারাপ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কথায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভাত বাদ দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিশেষ কৌশলে ভাত খেতে হবে। যেমন ধরুন পালিশ করা চালের বদলে ঢেঁকি ছাটা চাল (Puffed Rice) শরীরের পক্ষে বেশ পুষ্টিকর। আর এই চালের ভাত খেলে ওজন বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
জানলে অবাক হবেন, বিশ্বজুড়ে যে ডায়াবেটিসের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিচ্ছে তার অন্যতম একটি কারণ হল এই পালিশ করা চাল। সকলেই প্রায় দোকান থেকে কিনে আনেন পালিশ করা চাল। তার ভাত খেয়েই ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে ওজন, ডায়াবেটিসের মতো রোগ দেখা দিচ্ছে। তাই ঢেঁকি ছাটা চালের ভাত যদি রোজকার খাবারে রাখতে পারেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস থাকবে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও এই ধরনের চালে প্রোটিন আর কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ সঠিক থাকে। তাই শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিগুণ গিয়ে পৌঁছায়।
জানা যায়, ঢেঁকি ছাটা সিদ্ধ চালের মধ্যে রয়েছে খনিজ পদার্থ, প্রোটিন , ফ্যাট , কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম সহ ক্যারোটিন এবং ভিটামিনও থাকে যা, চাল পালিশ করার পর হারিয়ে যায়। এই কারণে পালিশ করা চাল বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ঢেঁকি ছাটা চাল খেলে ওজন বাড়ে না, যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাঁরা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন । আর তার সঙ্গে হাঁটু এবং কোমরের বিভিন্ন জয়েন্টে যে ব্যথা অনুভূত হয় সেটাও ধীরে ধীরে কমে আসবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম