।। প্রথম কলকাতা ।।
একটা দ্বীপের গায়ে কারেন্টের জাল বিছিয়ে দিচ্ছে চীন? তাইওয়ান অ্যাটাকের মন্ত্র দিয়ে কোন লুকোনো অস্ত্র পাঠিয়ে দিলেন শি জিং পিং? বোমারু বিমানে কিভাবে ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে দ্বীপ রাষ্ট্রের মেরুদন্ড? অ্যাকশন মোড অন। চীনের মাটির নীচে তাইওয়ান হাতানোর ছক? ঘনিয়ে আসছে কোন ভয়ানক বিপদ? একেই বলে ড্রাগনের চোখরাঙানি। যখন তখন চীনের খাদে হারিয়ে যাবে তাইপে? তাইওয়ানের এই বিপদ কাটাতে বাইডেনের টোটকাও ফেইল? হঠাৎ করে তাইওয়ানকে কেন ঘিরে ধরছে পঙ্গপালের মতো চীনের এতো এতো খতরনাক অস্ত্র? তাইপে কে ঘিরে কারা চক্কর কাটছে? একটা ক্রুশিয়াল টাইম চলছে। আগামী বছর তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জোরকদমে চলছে তার প্রস্তুতি। এর মাঝেই ফের তাইওয়ানের কাছে হানা দিল চীনের যুদ্ধবিমান। ১১টি চিনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে।
লালফৌজের আগ্রাসী বিমানের ঝাঁকে ছিল জে-১০ ও জে-১৬ ফাইটার জেট। ছিল এইচ-৬ বোমারু বিমানও। চিনা রণতরীর সঙ্গে যৌথভাবে যুদ্ধের মহড়া চালাচ্ছে তাদের বিমানবাহিনী। জানা গিয়েছে, গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে স্পেশাল ফোর্স মোতায়েন করে দিয়েছে তাইওয়ান। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চীন মুখ খোলেনি। জানিয়ে রাখি, এর আগেও বহুবার দ্বীপরাষ্ট্রটির ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়েছিল এই বিমানগুলো যা নিয়ে বেজায় ক্ষিপ্ত তাইপে। কমিউনিস্ট দেশটিকে যোগ্য জবাব দিতে কোমর বেঁধে তৈরি তারাও। মনে করা হচ্ছে, ভোটের আগে তাইওয়ানে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে লালফৌজ। আর তাই তাইওয়ান কে ঘিরে চীনের এই মহড়া। ব্যাক টু ব্যাক অ্যাটাকের ঝুঁকিতে রয়েছে দ্বীপ রাষ্ট্র তাইওয়ান। আজ নয়, চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে বহুদিন ধরে চলছে ক্ষমতা দখলের লড়াই। গত তিন বছরে এই লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া চীন। কিন্তু ‘ড্রাগন’কে এক চুল জমিও ছাড়তে নারাজ তাইওয়ান। ফলে চাপানউতোর বেড়েই চলেছে দুদেশের মধ্যে।
তাইওয়ানের বড় সাপোর্ট যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু, কদিন আগের ফেস টু ফেস আলোচনাতে শি জিংপিং বাইডেন কে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাইওয়ান কে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করা এবং চীনের সঙ্গে দ্বীপ অঞ্চলটার শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলন তাদের সমর্থন করতে হবে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রকে অলরেডি চাপে ফেলে রেখেছে চীন। তাই যখন বারংবার তাইওয়ানকে ঘিরে চীন সামরিক মহড়া চালাচ্ছে তখন যুক্তরাষ্ট্র পুরো বিষয়টা কিভাবে সামাল দেবে সেটা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ একদিকে চীনের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক তৈরির মোক্ষম সময় এটা অন্যদিকে তাইওয়ান কে বরাবর সাপোর্ট করে এসেছে বাইডেনের দেশ। ফলে তাইওয়ানের বিপদে যুক্তরাষ্ট্র ঠিক কোন ভূমিকা পালন করবে এখন বা আগামী দিনগুলোতে সেটা বলবে সময়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম