।। প্রথম কলকাতা ।।
Iceland: আগুন আর বরফের খেলা চলে এদেশে। দেখেছেন কখনও ইউরোপের ছোট্ট দেশ আইসল্যান্ডে কেন নেই কোনো সেনাবাহিনীর পাহারা? ছেলেরাও এদেশে পুতুল খেলে বিতর্ক বলে ভাবছেন একে? মধ্যরাতে সূর্য ওঠা এদেশে তিনমাস ঘুটঘুটে অন্ধকার। এখানে জীবন কাটাতে গেলে আপনাকে একটা দুঃসাধ্য কাজ করতেই হবে। আইসল্যান্ড অনেকেরই ভ্রমণের তালিকায় একেবারে প্রথমে৷ তবে একটু অবাকই হবেন পুরোপুরি এই দেশটার ব্যাপারে জানলে৷
আগ্নেয়গিরি অগ্নুত্পাতের ফলেই আইসল্যান্ড দ্বীপরাষ্ট্রটির জন্ম। ব্লু লেগুন- গ্রিন্দাভাক, স্ট্রোক্কুর গিজার্স, স্কাফাফেল আইস কেভের। এ দেশ বাংলাদেশের আয়তনের কাছাকাছি হলেও জনসংখ্যা মাত্র সাড়ে তিন লাখ থেকে সামান্য বেশি। শুধুমাত্র বরফের সমাহার বা আরোরা বোরেয়ালিই দেশটার শেষ কথা নয়৷ আইসল্যান্ডে রয়েছে আরও অনেক চমক৷ ইউরোপের ছোট রাষ্ট্র আইসল্যান্ড। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত গ্রীনল্যান্ড-স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যবর্তী আগ্নেয়দ্বীপ। তবে ক্ষুদ্রতম দেশ হলেও কেন আইসল্যান্ডে কোনও সেনার দরকার পড়ে না। এদেশের কি কোনও শত্রু নেই?
মধ্যরাতে সূর্য ওঠা দেশে। প্রতিনিয়ত চলে বরফ আর আগুনের খেলা। কারণ আইনল্যান্ডে এখনও রয়েছে বহু জ্যান্ত আগ্নেয়গিরি। তবে এরা ভুগর্ভস্থ জলকে উষ্ণ রাখে।
প্রকৃতির অবিশ্বাস্য সব ঘটনার সাক্ষী থাকতে অরোরা বোরেয়ালি কখনও মিস করা যায় না। আইসল্যান্ড লিঙ্গনিরপেক্ষ দেশগুলোর মধ্যে প্রথম পাঁচেই রয়েছে। ২০১৮-র গোড়াতেই আইসল্যান্ড আইন করে সারা দেশে সমবেতন নীতি প্রতিষ্ঠা করেছে। নীতি লঙ্ঘনে কঠোর শাস্তিও ধার্য করেছে। সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে বা সমিতিতে ন্যূনতম ৪০ শতাংশ পদ মহিলাদের জন্য বরাদ্দ।
এদেশের জনসংখ্যা এতটাই কম যে দেশকে রক্ষা করতে কোনও সেনাবাহিনী রাখার প্রয়োজন বোধ করেনি আইসল্যান্ড৷ এখানের উপকূলীয় বাহিনীই সামান্য হাতিয়ার নিয়ে নিরাপত্তা দেয়। সেনাবাহিনী না থাকার কারণে বিশাল সামরিক খরচ বহন থেকে বেঁচে যায় দেশটি। ইতিহাস বলে অপ্রত্যাশিতভাবে আইসল্যান্ডের খোঁজ প্রথম পেয়েছিল ভাইকিংরা৷ নরওয়ের জেন নাবিকরা এরপর ধীরে ধীরে বসবাস শুরু করে। ১৯৪৪ সালেই স্বাধীন হয়ে যায় রিপাবলিক অব আইসল্যান্ড।
এদেশে ধর্ম নিয়ে কোনও মাতামাতি নেই৷ মূলত লুথেরান খ্রীস্টানদের বাস এদেশে, তবে ১০ হাজার মুসলিমরাও রয়েছে। আইসল্যান্ডের কর্মসংস্থানে ছুটির এই নিয়ম বলে দেয় যে সন্তান প্রতিপালনের দায়িত্ব শুধু মায়ের নয়, তাই সন্তান জন্মানোর পর মায়ের সঙ্গে সঙ্গে পিতারাও ছয় মাসের ছুটি পায়। সবথেকে মজরা ফ্যাক্ট কি জানেন? আইসল্যান্ডের জনগণ প্রচুর বই পড়ে। তাদের মধ্যে ১০ শতাংশ মানুষ জীবনকালে একটি হলেও বই প্রকাশ করে।
এখানকার বেশিরভাগ মানুষ বসবাস করেন দেশটির রাজধানী শহর রেইকজাভিকে। অন্যান্য দেশের মতো এখানে কোন রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। এমনকি পুরো দেশের জন্য একটিমাত্র বিমানবন্দর রয়েছে কেফলাভিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তা সত্ত্বেও এদেশের জনতা সুখী৷ যা এদেশে ভ্রমণ করতে যান তারাও সুখ পান৷ প্রকৃতিক সৌন্দর্য আর খামখেয়ালি মিলে এই দেশ যেন মর্তের স্বর্গ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম