।। প্রথম কলকাতা ।।
Success Of Chandrayan-3: বাবা-মা আমরা পেরেছি চাঁদ ছোঁয়ার আনন্দে কেঁদে ফেললেন বাঙালি বিজ্ঞানী সৌমজিৎ। ছোটবেলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদ-তাঁরা দেখে মাকে পিকু করতেন নানান প্রশ্ন। সেই ছোট্ট পিকু কখন যেন বড় হয়ে গেল। সে এখন চন্দ্রযান-৩-এর অপারেশন ডিরেক্টর। বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে কলকাতায় পড়াশোনা সেখান থেকে সোজা ISRO-র বিজ্ঞানী সহজ কথা নয়। নিউটাউনের সৌম্যজিতের স্বপ্নপূরণের লড়াইয়ের গল্প জানুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শেষ হতেই এল সৌম্যজিতের ফোন। ফোনের ও-পার থেকে ঝরে পড়ল ছেলের উচ্ছ্বাস, দেখলে মা-বাবা তোমরা? খুব আনন্দ হচ্ছে। ইসরোতে সৌম্যজিৎ হতে পারেন বড় বিজ্ঞানী। কিন্তু মা বাবার কাছে তিনি এখনও ছোট্ট পিকু।
বীরভূমের রায়পুর গ্রামের ছেলে সৌম্যজিৎ। ছেলেবেলায় ময়ূরাক্ষী নদী ঘেঁষা গ্রামের রাতের আকাশে চাঁদ ও তারা দেখে পিকুর মনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খেত। মহাকাশ নিয়ে তাঁর বরাবর কৌতুহল। সাথে পড়াশোনায় তুখোড় ছিলই। মেধা আর ভালোবাসা দিয়েই সৌম্যজিৎ এখন সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন। বাবার বদলির চাকরি থাকায় কলকাতার সল্টলেকেই স্কুলজীবন কেটেছে। এরপর একের পর এক ধাপ কীভাবে কাটল? কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে বি টেক পড়ার সময়েই ইসরোয় পরীক্ষা দিয়ে ভাল ফল করেন সৌম্যজিৎ। ২০০৭ সালে ইসরোর বেঙ্গালুরুর অফিস থেকে ডাক আসে। তখন থেকেই টানা ১৬ বছর ইসরোর ইউ আর স্যাটেলাইট কেন্দ্রে কাজ করছেন পিকু। চন্দ্রযান ৩ -এর চন্দ্রযান-৩-এর অপারেশন ডিরেক্টর তিনিই যে সফট ষ ল্যান্ডিং নিয়ে এতো কৌতুহল সকলের তাতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সৌম্যজিতের।
বুধ সকাল থেকেই কলকাতার নিউটাউনের আবাসনে গোটা দেশের সঙ্গে দেবদাস ও নন্দিতা চট্টোপাধ্যায়ও। ছেলের কৃতিত্ব নিজের চোখে টেলিভিশনে দেখবেন বলে। তারপর সেই সময় এল। তখন রীতিমত বুক কাঁপছে আবাসনের সকলের। চাঁদের বুকে নেমে গেলে ল্যান্ডার। সফল অভিযানের পরে সহকর্মীদের সাথে হাত মেলাচ্ছেন সৌম্যজিত। সাথে সাথে ছেলের ছবি টিভির ওপার থেকেই তুলে রাখলেন বাবা মা। এরপরই পিকু ফোন করে কাঁদতে থাকে। আনন্দের চোখের জল সামলে রাখতে পারেননি বাবা মাও। ছেলের চাঁদ জয়ের আনন্দে প্রতিবেশীদের মিষ্টি খাইয়েছেন সৌম্যজিতের পরিবার।
এখন বেঙ্গালুরুতে থাকেন। স্ত্রী সুপর্ণার সঙ্গে ৩৯ বছরের সৌম্যজিৎকে পাশে থেকে ভরসা জুগিয়েছেন। স্ত্রী মনের জোর দিয়েছেন। সুপর্ণার সাপোর্ট না থাকলে মন প্রাণ দিয়ে নিজের কাজটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন না সৌজ্যজিৎ বলছেন পিকুর বাবা -মাও। কিন্তু ছোট পিকুর মন পড়ে থাকে গ্রামের বাড়িতে এখনও সময় পেলে ছুটে যায় রায়পুর গ্রামে। ২০১৪ সালে সৌমজিৎ মঙ্গল মিশনের কোর কমিটিতে ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয় ২০১৯ এর চন্দ্রযান টু অভিযানেও বড় দায়িত্ব সামলেছিলেন বাংলার এই ছেলে। অনেক চাকরির সুযোগ আসলেও, মহাকাশের আকর্ষণে ইসরোতেই রেয় গিয়েছেন পিকু। আর সৌম্যজিতের মতো মানুষদের চোখ দিয়েই অধরাকে ধরার ইচ্ছে জাগছে দেশবাসীর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম