।। প্রথম কলকাতা ।।
Chandrayan 3 Mission: বাঙালি বিজ্ঞানীর নকশা করা ক্যামেরায় চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি দেখবে গোটা বিশ্ব। আশায় বুক বাঁধছে গোটা বাংলা। চন্দ্রযান ৩ এর শুধু চন্দ্র পৃষ্ঠে নামার অপেক্ষা। তারপর নিজের কেরামতি দেখাবে বাঙালির যুবক। চাঁদের আশপাশ, তার ভূ প্রকৃতি, সেখানের মাটি, চড়াই উতরাই সহ আশপাশের সব ছবি আমরা দেখবো সেই ক্যামেরায় তোলা ছবিতে। সেই ক্যামেরার নকশা কে তৈরি করেছে জানেন? তিনি অনুজ নন্দী। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা অনুজ চন্দ্রযান ৩-র ক্যামেরার ডিজাইন করেছেন। গর্ব,স্বপ্নকে বাস্তব করার জন্য তাঁর ওপরই এখন সবচেয়ে বেশি ভরসা করছে ইসরো।
চাঁদের দেশে পাড়ি দিয়েছে ভারত। চন্দ্রযানের উড়ে যাওয়া গোটা দেশের সঙ্গে দেখেছেন অনুজের পরিবারের লোকজনও। আপাতত দেশবাসীর মতোই তাঁদেরও অপেক্ষা চন্দ্রযান ৩-র চাঁদের মাটিতে সফলভাবে নামার।ছেলের বানানো ক্যামেরার চোখে ভর করেই দেশ সে কাজ করতে পারবে বলেই আশা-ভরসায় বুক বাঁধছে ইসলামপুরের আশ্রমপাড়ার পরিবার। বাঙালি বিজ্ঞানী অনুজ যখন তাঁর জীবনের অন্যতম কঠিন পরীক্ষার সামনে তখন তাঁর ভাই অনিমেশ ও ছেলে ঠায় বসে ছিলেন বাড়ির টেলিভিশন সেটের সামনে। টিভির সামনে বসে ছিল গোটা ইসলামপুর।
গর্বের রেশের মাঝেই দেশবাসীর অপেক্ষা আমেরিকা রাশিয়া-চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে নামার। ভারতীয়রা জানেন কঠিন লড়াইটা এখনও বাকি। কারণ বছর চারেক আগে চন্দ্রযান ২ চাঁদের মাটিতে নামার মুখে ভেঙে টুকরো-টুকরো হয়ে গিয়েছিল। সেই থেকে শিক্ষা নিয়েই নতুনভাবে স্বপ্ন ছোঁয়ার উড়ান ধরা। আর সেই গর্ব-স্বপ্নকে বাস্তব করার জন্য সবথেকে বেশি যাঁদের ওপর ভরসা করেছে ইসরো তাঁদের একজন বাঙালি বিজ্ঞানী অনুজ নন্দী। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর হাই স্কুলে পড়াশোনা শেষ করার পর রায়গঞ্জ কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হন তিনি। তারপর আর পিছন তাকাতে হয়নি তাঁকে৷ বেঙ্গালুরুর ইসরোতে গত আট বছর ধরে কাজ করছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী।
তাঁর ক্যামেরার চোখের ওপর ভরসা রেখেই চাঁদের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান তিন। চাপা টেনশনে অনুজ। বাঙালি বিজ্ঞানী মা শোভা নন্দী বলছেন, ‘মাসখানেক আগেই বাড়িতে এসেছিল। চন্দ্রযান ৩ উড়ে যাওয়ার পরে বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে কথাও হয়েছে। আমরা সবাই একসঙ্গে বসে সফল উৎক্ষেপণ দেখেছি। ‘চন্দ্রযান ৩- এর অভিযান শুরু থেকে শেষ করতে সময় লাগবে আরও কিছু দিন। ২২ বা ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার কথা চন্দ্রযান ৩-এর। এতে যে ল্যান্ডার রয়েছে সেটি চাঁদের মাটিতে মাসখানেকের একটু বেশি সময় ধরে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে। সেখান থেকেই সব ছবি পাঠাবে অনুজের নকশা করা ক্যামেরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম