।। প্রথম কলকাতা ।।
IPS Navjot Simi: রূপের ছটায় বিশ্ব সুন্দরীকেও হার মানাবেন। এই IPS অফিসার এই সুন্দরীর তেজেই বড় বড় ক্রিমিনালও কুপোকাত। পাঞ্জাবি মেয়েটির থেকে চোখ সরাতে পারবেন না আপনিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মিলিয়নের উপরে ফলোয়ার্স। কথায় আছে বিউটি উইথ ব্রেইন। ডাক্তারি ছেড়ে সোজা আইপিএস অফিসার। কীভাবে হলেন? এই সুন্দরীর তেজ আপনাকে অবাক করবেই। পুলিশ আধিকারিকের বেশে এনাকে দেখলে প্রথমে মনে হতেই পারে কোন নায়িকা শুটিংয়ে ব্যস্ত। তা ভাবলে ভুল করবেন আপনি। কারণ এই সুন্দরীর দাপটের কাছে হার মানবে যে কেউ।
হতেই পারতেন বড় নায়িকা বা মডেলিং- এ কেরিয়ার গড়াও সহজ ছিল তাঁর কাছে। কিন্তু ছোট থেকেই IPS অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন ছোট্ট সিমি। প্রথম জীবনে একজন চিকিৎসক হয়েও নিজের স্বপ্নকে সত্যি করে দেখিয়েছেন এই পাঞ্জাবের মেয়ে। ব্যক্তিগত জীবনের চেয়ে কাজকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন নভজ্যোৎ সিমি। নিজের বিয়ে নিয়ে যা করলেন তা অবাক করবেই আপনাকে।
সিমি বিয়ে করেন ২০১৫ ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্যাডারের আইএএস অফিসার তুষার সিঙ্গলার সঙ্গে সব সময় কাজে ব্যস্ত থাকেন দুজনেই। সিমি বিয়ের সময় পাটনাতে এসিপি এদিকে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় তুষার এসডিও হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ের জন্য আলাদা সময় নেই তাই নিজেদের অফিসে আইনি বিয়ে সেরে নিয়েছিলেন এই জুটি। ৫৬৫ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় এসে তিনি বিয়ে করেন তুষারকে। অনেক পরে অনুষ্ঠান করে বিয়ে হয় তাঁদের।
সৌন্দর্য, স্টাইল আর গ্ল্যামারে কোন বলে নায়িকার থেকে কম নয় সিমি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি তুমুল ভাইরাল। ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ার্সের সংখ্যা ১ মিলিয়নেরও বেশি। চাকরির দায়িত্ব সামলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় থাকেন এই অফিসার। হামেশাই কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানা মুহূর্ত শেয়ার করেন। উচ্চতায় প্রায় ৬ ফুট। শাড়ি থেকে যেকোনো ওয়েস্টার্ন ড্রেস সবেতেই স্বচ্ছন্দ এই সুন্দরী। বেড়াতে ভীষণ ভালোবাসেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রোফাইলে উঁকি মারলেই তা বোঝা যাবে। তাঁর ফটোশুটের সঙ্গে তুলনা করলে বড় মডেলও পিছিয়ে যেতে পারেন। আবার এই মহিলার দাপটকে ভয় পায় মারাত্মক ক্রিমিনালও।
ডেন্টিস্ট থেকে আইপিএস অফিসারের সফর টা কেমন ছিল?
২০১০ সালের জুলাইয়ে সিমি লুধিয়ানায় জসন্ত সিং ডেন্টাল কলেজ থেকে ডেন্টাল সার্জারি ডিগ্রি পান। এক সময় ডেন্টিস্ট ছিলেন নভজ্যোৎ। চিকিৎসকের কাজ তাঁকে টানত না। শেষ পর্যন্ত আইপিএস হওয়ার লক্ষ্যে শুরু হয় তাঁর অভিযান। প্রথম চেষ্টাতেই আইপিএস হওয়া মুখের কথা নয়। ২০১৬ সালে তিনি প্রথমে পিসিএস অফিসার হন। তার পরের বছরই তিনি আইপিএস পরীক্ষায় পাশ করেন। গোটা দেশের মধ্যে ৭৩৪ র্যাঙ্ক করেন নভজ্যোৎ।
এর আগেও অনেক সুন্দরী মহিলা চলচ্চিত্র বা মডেলিংকে তাঁদের কেরিয়ার হিসেবে না বেছে নিয়ে ভারতীয় প্রশাসনিক কাজকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সেই তালিকার আরও একটি নাম হল হল আইপিএস ন ভজ্যত সিমি। তিনি বহু মেয়ের অনুপ্রেরণা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম