।। প্রথম কলকাতা ।।
ভিড় ভাট্টা এড়িয়ে পুজোয় শান্ত-নির্জন জায়গায় কাটাতে চাইছেন ? প্রকৃতির অপরূপ শোভা থেকে শুরু করে সমুদ্র সৈকত সবই পাবেন খুব কাছাকাছি। কলকাতার আশেপাশে বেশ কিছু পর্যটন স্থান রয়েছে। পুজোর ছুটিতে লং ড্রাইভ কিংবা নদীর পাশের শোভা আপনার জন্য কিন্তু বেশ চমকপ্রদ হতে পারে। খুব কম সময়ে ঘোরা যায় এমন পাঁচটি জায়গার হদিশ রইল আপনাদের জন্য।
কলকাতার দক্ষিণে প্রায় ১২৫ কিমি দূরে রয়েছে সমুদ্র তীরবর্তী একটি ছোট সৈকত শহর, বকখালি। যা কলকাতার নিকটস্থ সর্বোৎকৃষ্ট টুরিস্ট প্লেসগুলির মধ্যে একটি৷ বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটি আদর্শ স্থান৷ এই সৈকত থেকে অপূর্ব সুন্দর সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারবেন। বকখালি থেকে প্রায় আধ ঘন্টার দূরত্বে, দেখার মতো আরও একটি স্থান হল হেনরি আইল্যান্ড৷ ওয়াচটাওয়ার থেকে আশপাশের ঘন সবুজের আচ্ছাদন স্থানটিকে মায়াবী স্নিগ্ধতা প্রদান করে৷ আপনি জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হেঁটেও হেনরি আইল্যান্ডে যেতে পারেন ৷ বকখালি থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে, ফ্রেজারগঞ্জে রয়েছে গগনচুম্বী উইন্ডমিল৷ এই উইন্ডমিলগুলি দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি সরলরেখায় এবং সৃষ্টি করে একটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যর ৷
দ্বিতীয় জায়গাটি হল কোলাঘাট। কলকাতা থেকে মোটামুটি ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রূপনারায়ণ নদীর কূলে এই কোলাঘাট শহরটি। নদীর পাশে যেহেতু তাই এখানে পিকনিকের জায়গাও রয়েছে। তাই ক্রিসমাস বা শীতের ছুটিতে এখানে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। এই শহরটি ইলিশ মাছ ও ফুলের জন্য বিখ্যাত। একানে প্রধান আকর্ষণ রূপনারায়ণ নদীর কূল। ভ্রমণের আদর্শ সময় অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস।
তৃতীয় জায়গা হিসেবে যেতে পারেন, রায়চক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়চক থেকে ঘুরে আসতেই পারেন।হুগলি নদীর গা ঘেঁষে থাকা রায়চকের আবহাওয়া দারুন মনোরম।স্থানটি অনেক বিস্তীর্ণ বলেই বেশি লোক থাকলেও ভিড় বোঝা যায় না। গঙ্গার ধার ভ্রমণ এবং নদীর বুকে নৌ-বিহারের পাশাপাশি এখানকার রায়চক দুর্গ সহ বেশ কয়েকটি স্থানে ঘুরে নিতে পারেন। এখানে আছে বিলাসবহুল অভিজাত রিসর্ট। এর গ্ল্যামারই আলাদা। অবসর যাপনের দারুণ ঠিকানা। এক কিংবা দেড় দিনের জন্য এখানে সময় কাটিয়ে যাওয়াই যায়। কলকাতা থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৫৪ কিলোমিটার।
এছাড়াও কলকাতা থেকে মোটামুটি ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত টাকি থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। ইছামতীর কোলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের আদর্শ ভ্রমণ স্থল হলো টাকি। একদিকে ভারত অপরদিকে বাংলাদেশ। যেন সীমান্তের রেখা টেনে দিয়েছে এই ইছামতী নদী।সুন্দরী, গোলপাতা হোগলাপাতা দিয়ে সাজানো টাকির বিস্তীর্ণ এলাকা। একে মিনি সুন্দরবনও বলা যেতে পারে। ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে জোড়া মন্দির, ভগ্নপ্রাপ্ত রাজবাড়ি। চাইলে ঘুরে আসতেই পারে।
সবশেষ যে জায়গাটির কথা বলবো সেটি হল কলকাতা থেকে প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার দূরে তাজপুর।স্বচ্ছ সুনীল আকাশ, ঝকঝকে আবহাওয়া, ঝোড়ো হাওয়া তার সাথে সমুদ্রকল্লোলের অসীম সঙ্গীত সব মিলিয়ে এক অন্য অনুভূতি জাগিয়ে তুলবে। এখানকার সমুদ্রের তীরে লাল কাঁকড়ার দেখা মেলে। এই সমুদ্রসৈকতটি দেখতে অনেকটা উল্টো অর্ধচন্দ্রাকৃতির মতো। এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশের একদিন যেতেই পারে।
তাহলে আবার কি যারা এবার পুজোয় ভিড়ভাট্টা থেকে দূরে শরীর একটু আলাদা সময় কাটাতে চাইছেন, তারা এই ৫ টি জায়গার মধ্যে একটি জায়গায় ঘুরে আসুন, মন ভালো হয়ে যাবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম