।। প্রথম কলকাতা ।।
নদীর দু’ধার সাদা কাশ ফুলে ঢাকা। নৌকার সাহায্যে নদীর এপার ওপার করছেন একদল মানুষ। কেউ এসেছেন সাইকেল নিয়ে, কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ বা বাইকে করে। নদীর এপার থেকে ওপার যেতে গেলে একমাত্র ভরসা দাঁড় টানা নৌকা। চারিদিকে অসাধারণ প্রাকৃতিক পরিবেশ থাকলেও, বলছে বহু মানুষের যন্ত্রণার কথা। এটা কোন সিনেমার দৃশ্যপট নয়। যে মানুষগুলো নৌকা পারাপার করছেন তাদের মধ্যে কাজ করছে এক রাশ আতঙ্ক আর ভয়। এই বুঝি কোন দুর্ঘটনা ঘটে গেল। প্রায় এক যুগ পেরিয়ে গেছে। মানুষ আশ্বাসও পেয়েছে। কিন্তু নদীর এপার থেকে ওপারে যাওয়ার জন্য কোন ব্রিজ তৈরি হয়নি। তাই ভরসা বলতে কাঠের নৌকা। এই ছবি বাঁকুড়া জেলার ওন্দা ব্লকের গামিদ্যা এবং ওন্দা শহরের মাঝে।
নদী ব্রিজের কাজ যে শুরু হয়নি এমনটাও নয়। আসলে কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি। গেলে দেখতে পাবেন, ব্রিজের থামগুলো জলের মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে। পাশে পড়ে রয়েছে বহুদিন ধরে পড়ে থাকা জং ধরা লোহা। অসমাপ্ত ব্রিজের নিচে ছুটে চলেছে দারকেশ্বর নদীর জল। তাই সংযোগের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে নৌকা। অথচ এভাবে নদী পারাপার বেশ মুশকিল এবং ঝুঁকিপ্রবণ। বেশ কয়েকটা দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
এই সমস্যায় ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দা দিপালী মুখার্জীর মতে, জীবনে ঝুঁকি নিয়ে তারা যাতায়াত করেন ।নৌকাও বেশিদিন চলে না। খুব জল থাকলে তবেই নৌকা চলে। কম জল থাকলে হেঁটে হেঁটে পার হতে হয় নদী । তখন কোথাও কোমর জল, আবার কোথাও গলা পর্যন্ত জল। একটু বেশি জল হলে যে কেউ ডুবে যেতে পারেন। এমনকি মারাও যায় মানুষ। আর এক স্থানীয়র মতে, এই এলাকায় চাষবাস থেকে শুরু করে শিক্ষার উন্নতি হবে যদি একটা ব্রিজ হয়। মাত্র ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লেগে যায় দুই থেকে তিন ঘন্টা। নদীর একধারে যদি বড় কোনো অপরাধ বা দুর্ঘটনা ঘটে যায়, থানায় ফোন করলেও দ্রুত ঘটনাস্থলে কেউ আসতে পারবেন না। কারণ একটাই, যথাযথ যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। এলাকাবাসী চাইছে খুব দ্রুত নদী ব্রিজের কাজ শেষ হোক। তাহলেই তারা এই ভয়, আশঙ্কা আর ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাবেন। নিরাপদে পারাপার করতে পারবেন নদী।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম