।। প্রথম কলকাতা ।।
জানেন, এই পৃথিবীতেই আছে ভয়ঙ্কর ড্রাকুলার দেশ। যেখানে রমরমিয়ে চলে কালো জাদু। দুর্গ থেকে ভেসে আসে শয়তান পিশাচের কান্নার আওয়াজ। দেশটাকে কেন ড্রাকুলার দেশ বলা হয়? এখানে কি সত্যি রয়েছে রক্তচোষা বাদুর? পুরোটা শুনলে হাড় হিম হয়ে যাবে। এমন দেশ পৃথিবীতে দুটো নেই।
বর্তমান নিয়ে দাঁড়িয়ে, ব্ল্যাক ম্যাজিক জাদুবিদ্যা এই সমস্ত শব্দ শুনলে নিশ্চয়ই আপনার অদ্ভুত লাগবে। কিংবা মনে খটকা জাগবে। কিন্তু এখনও অনেকেই এসব বিশ্বাস করেন। শুধু ভারত বা আমাদের প্রতিবেশী কোন দেশ নয়, বিদেশের ইউরোপের বহু উন্নত দেশে ব্ল্যাক ম্যাজিক অত্যন্ত জনপ্রিয়। তার জন্য ট্যাক্স দিতে হয় সরকারকে। রুক্ষণশীল ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কালো জাদু। ইউরোপের এই দেশটাকে বলা হয় ভ্যাম্পায়ারের দেশ বা ড্রাকুলার দেশ। বলছি রোমানিয়ার কথা।
রোমানিয়ার সামগ্রিক ছবি দেখলে মনে হবে দেশটা উন্নত। কিন্তু এমন আজব দেশ আপনি পৃথিবীতে দুটো পাবেন না। এটি এমন একটি দেশ যেখানে আইন করে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে ব্ল্যাক ম্যাজিককে। শুধু রোমানিয়া নয় জার্মানি, চিলি, ফিলিপাইন, যুক্তরাজ্য, মেক্সিকো সহ আফ্রিকান বহু দেশে কালো জাদু বেশ চর্চিত বিষয়। রোমানিয়া সম্পর্কে যতই জানুন না কেন, দেশটার যত গভীরে যাবেন ততই যেন রহস্য। ইউরোপের সুন্দর একটা দেশ। সাজানো গোছানো ভীষণ পরিপাটি। রয়েছে পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর জলপ্রপাত। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক বেড়াতে যান রোমানিয়ায়। বিশ্বজুড়ে রোমানিয়ার আলাদা একটা পরিচয় রয়েছে। কিন্তু দেশটা বেশি চর্চায় থাকে কালো জাদু চর্চার জন্য। রোমানিয়ার কিছু কিছু রাস্তা ইংরেজির এক্স এর মতো। অধিকাংশই রাস্তাই আঁকাবাঁকা। রাস্তা গুলোকে কেউ আকর্ষণীয় ভাবেন, আবার কেউ ভাবেন বিপ্পজনক। পাশাপাশি দেশটা ভাল্লুকের জন্য ভীষণ বিখ্যাত। শোনা যায়, রোমানিয়া এমন একটি দেশ যেখানে নাকি সিগারেটের চোরা চালানও হয়। এখানে মানুষ প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল পান করে।
রোমানিয়ায় কোন মানুষ মারা গেলে তার সমাধি সুন্দর করে সাজানো হয়। দেশটা কিন্তু উন্নত। দেশটার অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা বাস করে শহরে। তবুও আশ্চর্যের বিষয়, ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশে সুযোগ সুবিধা কম। অথচ সোনা সংরক্ষণের দিক থেকে ইউরোপের সবথেকে ধনী দেশ রোমানিয়া। এখানে দেখতে পাবেন সোনার জাদুঘর। রোমানিয়া মেয়েরা লাস্যময়ী সুন্দরী। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা বেশি। মেয়েদের চুল দেখেই বলে দিতে পারবেন তারা বিবাহিত কিনা। এখানে অবিবাহিত মেয়েরা চুল খোলা রাখতে একটু বেশি ভালোবাসে। আবার কেউবা চুলে একটা বেনি করে রাখে। তবে বিবাহিত নারীরা এক ধরনের বিশেষ কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখেন। রোমানিয়ার মানুষ ভীষণ অতিথিপরায়ণ। বন্ধুত্ব কিংবা আন্তরিকতায় কয়েক মিনিটে ভুলিয়ে দিতে পারে আপনার মন। ইউরোপের সংস্কৃতিক কাঠামো বিবেচনায় রোমানিয়াকে একটি সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দেশটি ধর্ম নিরপেক্ষ হলেও, এখানে ৯১ ভাগ মানুষ খ্রিস্টান ধর্ম বিশ্বাসী।
জানেন, এই রোমানিয়াতে রয়েছে এক কুখ্যাত জায়গা। যেখানে মেলে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন দুর্গের দেখা। গা ছমছমে পরিবেশ। জায়গাটি বার্ন। যার সঙ্গে জড়িয়ে ড্রাকুলার নাম। কথিত আছে, একসময় এই দুর্গে থাকতেন অত্যন্ত অত্যাচারীর নৃশংস শাসক। যিনি বাবার নামে নিজের নামকরণ করেছিলেন ড্রাকুলা। সেই অত্যাচারী শাসক হয়তো আজ নেই, কিন্তু তার ভয়াবহ স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই দুর্গে। এখনো নাকি এই দুর্গ থেকে পাওয়া যায় পায়ের শব্দ কিংবা ভুতুড়ে কণ্ঠস্বর।
দেখুন, আমরা কালো জাদু কিংবা এই ধরনের কুসংস্কারকে বিন্দুমাত্র সমর্থন করি না। কিন্তু রোমানিয়ার ব্ল্যাক ম্যাজিকে তাজ্জব গোটা বিশ্ব।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম