।। প্রথম কলকাতা ।।
Smartwatch: আপনি কি রোজ স্মার্টওয়াচ ব্যবহার করছেন? স্মার্ট ওয়াচ বা ঘড়ি আপনার জীবনকে স্মার্ট করে দিয়েছে! ব্লুটুথের মাধ্যমে ফোনের সাথে কানেক্ট করলেই মিলবে একগুচ্ছ সুবিধা। দেখতে ভীষণ স্টাইলিশ। কিন্তু স্মার্ট ঘড়ির চক্করে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছেন না তো? এই ঘড়ি জীবনকে সহজ করেছে তুলেছে ঠিকই, কিন্তু তলে তলে বাঁধাচ্ছে বিপদ। স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহার করা খারাপ না ভালো, এই নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে। চলছে বিস্তর গবেষণা। আপনি যদি স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এই প্রতিবেদনটা মন দিয়ে শুনুন। ভালোর পাশাপাশি ঠিক কতটা ক্ষতি করতে পারে একটা স্মার্ট ঘড়ি, একটু জেনে নিন।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের দাবি অনুযায়ী, স্মার্ট ঘড়ির ব্যবহারে ব্যবহার আপনার ঘুমে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ছিনিয়ে নেয় মনোযোগ। এমন কি স্মৃতিশক্তিও কমে যেতে পারে। যদি ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে একটু সাবধান। আসলে স্মার্ট ঘড়িতে রয়েছে ইএমএফ রেডিয়েশন। যা মাথা ব্যাথা, স্মৃতিশক্তির হ্রাস এবং অনিদ্রার অন্যতম কারণ। এই প্রভাব গুলো অস্থায়ী, কিন্তু দীর্ঘদিন এমনটা চলতে থাকলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। দেখা দিতে পারে তীব্র মাথা ব্যথা। যদিও স্মার্ট ঘড়ি যে ক্যানসারের কারণ, এখনো পর্যন্ত তা গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি।
তাহলে কি করবেন ? স্মার্ট ঘড়ি থেকে কি দূরে থাকবেন? যুগের সাথে তাল মেলাতে গেলে এমন ধরনের বহু প্রযুক্তি আমাদের মেনে নিতে হয়। আসলে গলদটা থেকে যাচ্ছে ব্যবহারে। সবকিছুরই ভালো-মন্দ রয়েছে। আপনি কিভাবে স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহার করবেন তার উপর নির্ভর করবে ক্ষতিকারক প্রভাব। যখন বাড়িতে বিশ্রাম নেবেন কিংবা সপ্তাহে ছুটির দিনগুলোতে স্মার্ট ঘড়ি একটু কম ব্যবহার করুন। আপনার স্মার্ট ঘড়িটি আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সঠিক তথ্য দিচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে আগে নিশ্চিত হন। স্বাস্থ্যের তথ্য দেখে অযথা চিন্তা করার দরকার নেই। এই যে বারংবার স্মার্ট ঘড়ির ইএমএফ রেডিয়েশনের কথা বলা হচ্ছে, এটা কিন্তু মাথাব্যথা বমি বমি ভাবের কারণ হতে পারে। ঘুমানোর অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে স্মার্ট ঘড়ি বন্ধ করে রেখে দিন। মাথার কাছে কখনোই স্মার্ট ঘড়ি রাখবেন না। অন্ধকারের মধ্যে স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহার করবেন না। এর আলো দৃষ্টি শক্তি খারাপ করে দিতে পারে। খিটখিটে হয়ে যেতে পারে মেজাজ। গবেষণায় দেখা দিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহার করলে তাদের উদ্বেগ আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই সাবধানে থাকুন, সুস্থ থাকুন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম