।। প্রথম কলকাতা ।।
Short Trips Near Kolkata: ২০২২ প্রায় শেষের মুখে। হাতে গোনা আর মাত্র ১৭ দিন বাকি। তারপরেই ২০২৩, নতুন বছর নতুন পরিকল্পনা। তবে তার আগে রয়েছে ক্রিসমাস ইভ। এছাড়াও থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ভুললে কীভাবে চলে ! তার থেকেও মজার বিষয় হল এই বছর ক্রিসমাস ইভ পড়েছে শনিবার অর্থাৎ ক্রিসমাস হবে রবিবার। একই রকম ভাবে নতুন বছরও আসছে শনি- রবিবার মিলিয়ে। তাই ২০২৩ আসার আগে ছোট্ট করে কলকাতার কাছাকাছি কোথাও শর্ট ট্রিপ প্ল্যান করা যেতেই পারে। দু-একদিনের জন্য ঘোরাও হবে আবার যেতে হবে না খুব বেশি দূরে।
এমন কোন জায়গার খোঁজ রয়েছে কি আপনার কাছে? যদি না থেকে থাকে তাতেও বিশেষ অসুবিধা কিছু নেই। কারণ আজকের প্রতিবেদনে কলকাতার কাছাকাছি বেশ কিছু ট্রাভেল ডেস্টিনেশনসর হদিশ রয়েছে। দুদিন স্বাচ্ছন্দ্যে কাটানোই যায় সেই সমস্ত জায়গা গুলিতে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এবারের ক্রিসমাস এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাবেন কোথায়।
* বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর : দীপুদা ছাড়াও কিন্তু বাঙালির ঘোরার আরও অনেক জায়গা রয়েছে। দীঘা-পুরী-দার্জিলিং থেকে চোখ ঘোরালেই দেখতে পাওয়া যাবে বাঁকুড়া- বিষ্ণুপুরকে। এখানকার টেরাকোটার মন্দির , সুন্দর কারুকার্য , বিষ্ণুপুরের মেলা সব কিছুই পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সব সময় সক্ষম হয়।
* অযোধ্যা পাহাড় : এবারের নিউ ইয়র্ক বা ক্রিসমাসে ছোট একটা ট্যুর করা যেতেই পারে বাঁকুড়ার পার্শ্ববর্তী পুরুলিয়ায়। সেখানে রয়েছে অযোধ্যা পাহাড়। গ্রাম বাংলার একেবারে আনফিল্টার রূপ, একই সঙ্গে খুঁজে পাবেন জঙ্গলের সবুজ। গাড়ি, ট্রেন কিংবা বাসে খুব সহজেই পুরুলিয়ার এসু পৌঁছে যাওয়া যায় । আর সেখানে হোটেল পেয়ে যাবেন নিজের বাজেটের মধ্যেই।
* বকখালি ও হেনরি আইল্যান্ড : কলকাতা থেকে এই জায়গার দূরত্ব খুব বেশি নয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার হেনরি আইল্যান্ড দুদিনের জন্য বেশ ভালোই লাগবে পর্যটকদের। এখানে যাওয়ার জন্য কলকাতা থেকে বাস কিংবা শিয়ালদা থেকে দক্ষিণ শাখার যে কোন ট্রেন ধরে আপনাকে নামখানায় পৌঁছাতে হবে। হেনরি আইল্যান্ডে এসে আপনি দেখতে পাবেন অগুনতি ঝাউ গাছের বন আর তার সঙ্গে বালুকারাশি। এছাড়াও রয়েছে বঙ্গোপসাগরের সীমান্তহীন জল। শহরের ব্যস্ত জীবন কোলাহল থেকে বেরিয়ে এক দুই দিন এখানে কাটাতে খুব একটা খারাপ লাগবে না।
* টাকি ও মাছরাঙ্গা দ্বীপ : ইছামতি নদীর এপারে বাংলা আর ওপারে হল বাংলাদেশ। কলকাতা থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত টাকি। এই টাকি শহরটি ইছামতির তীরে অবস্থিত । এখানকার পৌরসভার উদ্যোগে একটা মিনি সুন্দরবন তৈরি করা হয়েছে। আপনি চাইলে ঘুরে আসতে পারেন মাছরাঙ্গা দ্বীপে। অবশ্য সেখানে যাওয়ার জন্য ফেরি করতে হবে। এছাড়াও এই শহরের অস্তিত্ব রয়েছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থানের। যা ঘুরে দেখতেও বেশ ভালো লাগবে।
দুদিনের জন্য নিজের কর্ম ব্যস্ত জীবনকে একটু রেস্ট দিতে এবং পরিবার বা কাছের মানুষের সঙ্গে কিছুটা সময় একান্তে কাটিয়ে নেওয়ার জন্য এই জায়গা গুলি বেশ ভালো। এতে খরচও এমন কিছু হবে না। যেহেতু সবই পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে এবং কলকাতার খুব কাছাকাছি তাই এবারের নিউ ইয়ার বা ক্রিসমাসে একবার হলেও ঘুরতে যাওয়াই যায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম