।। প্রথম কলকাতা ।।
Ringing The Bell In Puja : হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সকলেই জানেন যেকোন দেবদেবীর আরাধনায় ঘন্টা ব্যবহারের কথা। ভিন্ন ভিন্ন দেব-দেবীর পুজোতেও ব্যবহার করা হয় ঘন্টা। এই ঘন্টা হল এমন একটি সামগ্রী যা না থাকলে হিন্দু ধর্মে দেবদেবীর পুজো প্রায় অসম্পূর্ণ বলে ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু কেন ঘন্টা বাজানো এত গুরুত্বপূর্ণ পুজোতে ? ঘন্টার ধ্বনি ছাড়া কেনই বা পঙজো অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয় ? এই ব্যাপারে অনেকেরই কোন রকম ধারণা নেই। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, যেহেতু প্রত্যেক পুজোয় ঘণ্টা বাজানো হয় তাই সেটাই চলে আসছে।
আদৌ এর পেছনে কী কারণ রয়েছেৎ? শাস্ত্রেই বা ঘন্টার ধ্বনি নিয়ে কী বলা রয়েছে সে বিষয়ে অনেকেই কিছু জানেন না। আজকের প্রতিবেদনে এই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। প্রায় সব দেবদেবীর পুজোতেই ঘন্টার ব্যবহার করা চাই। মূলত শাস্ত্রমতে ঘন্টার ধ্বনি দ্বারা দেবদেবীর মূর্তিকে জাগ্রত করা হয়। এই প্রচলিত বিশ্বাস থেকেই হিন্দু ধর্মে পুজো অর্চনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ঘন্টা। এছাড়াও বহু প্রাচীনকাল থেকে মন্দিরের দরজায় ঘন্টা লাগানোর রীতি প্রচলন রয়েছে।
* শাস্ত্র কী বলছে ?
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুজোর সময় ঘন্টা বাজানো অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। আরতির সময় অবশ্যই ঘন্টা বাজানো হয়। কারণ ঘন্টা বাজালে যে বিশেষ ধরনের ধ্বনি তৈরি হয় তা আশেপাশে শুভ শক্তির আগমন ঘটায়। ঘন্টার ধ্বনি একটি বিশেষ ধরনের প্রতিধ্বনি তৈরি করে । আর সেই ধ্বনি আর প্রতিধ্বনির খেলায় আমাদের আশেপাশে ইতিবাচক শক্তি বিরাজ করে। এছাড়াও ওই ঘন্টার ধ্বনি মনকে শান্ত করে, শুদ্ধতার ভাব আনে মনে।
জ্যোতিষবিদদের মতে, যেকোনো পুজোতে ঘন্টা ব্যবহার করা হয় কারণ ওই ঘন্টার ধ্বনি দেব দেবীদের বেশ পছন্দের। তাঁরা ঘন্টার ধ্বনিতে প্রসন্ন হন। এছাড়াও শাস্ত্রমতে ঘন্টার ধ্বনির মতো শঙ্খধ্বনি এবং গঙ্গাজল পুজোর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি সামগ্রী। হিন্দু ধর্মে পুজো করার ক্ষেত্রে এই উপাদান গুলির ব্যবহার অবশ্যই করা হয়। তাতে পুজো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয় এবং ঈশ্বর ভক্তদের প্রতি দয়াবান হয়ে আশীর্বাদ বর্ষণ করেন।
* ঘন্টা কত রকমের হয় ?
ঘন্টা মূলত চার ধরনের হয়ে থাকে। বিভিন্ন আকার আকৃতি এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হওয়ার জন্য তাদের নামও আলাদা। যেমন ধরুন হাতে নিয়ে পুজোর সময় পুরোহিত যে ঘন্টা বাজান সেটি আকারে অনেকটাই ছোট হয়। তাকে গরুড় ঘন্টা বলে। আবার অনেক গৃহস্থ বাড়িতে মাঝারি আকারের কিংবা ছোট আকারের ঘন্টা দরজায় ঝুলিয়ে রাখা হয়। সেটাকে দ্বার ঘন্টা বলে। এই দ্বার ঘণ্টা আবার বড় আকারেরও হয়। যেগুলি মন্দিরে ঝুলিয়ে রাখতে দেখা যায় । আরও এক ধরনের ঘন্টা হল কাঁসর ঘন্টা। এটা খানিকটা থালার আকৃতির হয়। সাথে থাকে একটি লাঠি। লাঠির আঘাতে ঘন্টা থেকে ধ্বনি নির্গত হয়। ওই ধ্বনি মনোমোহক হওয়ায় মন মস্তিষ্কে আধ্যাত্মিকতা জাগিয়ে তোলে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম