।। প্রথম কলকাতা ।।
মহাকাশের আগ্রহে ভুরি ভুরি টাকা ঢালছে গোটা বিশ্ব। কী দেখা যাবে মহাকাশে? কীসের টান, কীসের মোহ? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনকেও টেক্কা দিচ্ছে ভারত? জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, মহাকাশ গবেষণায় ইনভেস্টের নিরিখে কে দাঁড়ালো কত নম্বরে? দেশগুলোর স্পেস প্রোগামের ব্যয় শুনলে চমকে যাবেন। মহাকাশ জয় করার স্বপ্ন মানুষের বহু দিনের। পৃথিবী থেকে ৫৩ মাইল উপরে মহাকাশ এবং বায়ুমণ্ডলের সীমান্ত যেখানে, জায়গাটি কারমেন নামে পরিচিত। ওখান থেকেই মহাকাশের শুরু। এর কোনো দিগন্ত আমরা দেখতে পাই না। তাই, মহাকাশকে দেখতে, জানতে, চিনতে নিত্যনতুন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। প্রযুক্তির অগ্রগতি ও মহাকাশ নিয়ে জানার পরিধি বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে সরকার স্পেস প্রোগামে ইনভেস্ট বাড়াচ্ছে।
যেমন NASA, মহাকাশে রীতিমতো আধিপত্য কায়েম করে রেখেছে। মহাকাশ গবেষণায় সবথেকে বেশি ব্যয় করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সংস্থা। এই সংস্থার বাজেট ৬১.৯৭ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। জ্যোতির্বিজ্ঞানে খরচের নিরিখে শীর্ষ স্থানে রয়েছে নাসা।
ISRO: ভারত এর Indian Space Research Organisation নিয়ে গোটা বিশ্বজুড়ে এখন ধন্য ধন্য চলছে। মহাকাশ গবেষণায় বাজেটের নিরিখে ৮ নম্বর স্থানে ভারত। কিন্তু সাফল্যের খতিয়ান বলছে অন্য কথা। ইসরোর জন্য বছরে ১.৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে মোদী সরকার। তবে ভবিষ্যতে এই বাজেট আরও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত রয়েছে। অলরেডি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান ৩ এর সফট ল্যান্ডিং এর মাধ্যমে ভারত “ফার্স্ট মুভার” হিসেবে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে মহাশূন্যে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর। ইসরোর গ্রাফ গোটা বিশ্বের কাছে ঈর্ষণীয় হয়ে উঠছে দিনে দিনে।
CNSA: চীনের China National Space Administration এর পেছনে ইনভেস্ট জানেন? মহাকাশ বিজ্ঞানে খরচের নিরিখে নাসার পিছনের রয়েছে চীন। নিত্যনতুন মহাকাশ মিশনে চীনও খরচ করে বিপুল পরিমাণ টাকা। বর্তমানে বছরে ১১.৯৪ বিলিয়ান মার্কিন ডলার খরচ করছে বেজিং। উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল মহাশূন্যে নিজস্ব স্পেস স্টেশন রয়েছে চীনের।
JAXA: জাপানের Japan Aerpspace Exploration Agency ও কম যায়না। সম্প্রতি ল্যান্ডার স্লিমকে মুন মিশনে পাঠানোর ঠিক ২৭ মিনিট আগে জাক্সা উৎক্ষেপণ ক্যানসেল করলেও মহাকাশ গবেষণার খরচের দিক থেকে বিবেচনা করলে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জাপান। JAXA র জন্য বছরে প্রায় ৪.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে টোকিও। উন্নত প্রযুক্তির মহাকাশ মিশনের জন্য বিশ্বের মধ্যে নামজাদা প্রতিষ্ঠান জাপানের এই সংস্থা।
CNES: ফ্রান্সের Centre National d’Etudes Spatiales মহাকাশ গবেষণায় খরচের নিরিখে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। CNES এর জন্য ফরাসি প্রশাসন বছরে ব্যয় করে প্রায় ৪.২০ বিলিয়ন ডলার। স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ও মহাকাশ বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ফ্রান্সের।
ROSCOSMOS: রাশিয়ার রসকসমস মহাকাশ গবেষণায় ঐতিহাসিক সাফল্যের জন্য পরিচিত। মহাকাশ গবেষণায় বাৎসরিক বাজেট ৩.৪২ বিলিয়ান মার্কিন ডলার।
ESA: ESA European Space Agency মহাকাশ গবেষণায় ব্যয়ের নিরিখে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বছরে ২.৬০ বিলিয়ান মার্কিন ডলার ESA-এর জন্য বরাদ্দ করা হয়।
GAC (Deutsches Zentrum für Luft- und Raumfahrt): জার্মানি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার জন্য ২.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে বার্লিন।
মোদ্দা কথা, সাফল্য পেতে মহাকাশ জয় করতে রীতিমতো দেশগুলোর মধ্যে কম্পিটিশন চলছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই যেটা দেখা যায় না সেটার প্রতি আমাদের আগ্রহ বেশি থাকে। এটাই ফ্যাক্ট। যে কারণে মহাকাশের প্রতি অমোঘ আকর্ষণ গোটা বিশ্বের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম