।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangladesh Election: বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ঠিক কি? যুক্তরাষ্ট্র ঠিক কোন পদক্ষেপ নিতে চলেছে? বিগত কয়েক মাসে এই প্রশ্নগুলোই বারংবার ঘুরে ফিরে এসেছে। বাংলাদেশে নির্বাচন ইস্যুতে বেশ সক্রিয় যুক্তরাষ্ট্র। লক্ষ্য একটাই, নির্বাচন হতে হবে অবাধ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ। অংশগ্রহণমূলক ভাবে সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। আগামী ৭ জানুয়ারি দেশটার জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তার আগেই আরেকবার যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল। অপরদিকে গতানুগতিক আন্দোলনের খোলস ছেড়ে নতুন রূপে ময়দানে নামছে বিএনপি। নির্বাচন প্রতিহত করতে দিতে চলেছে মাস্টারস্ট্রোক।
এর আগে বহুবার যুক্তরাষ্ট্র বলে এসেছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে চায় না। তারা শুধু দেখতে চায় অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। সেই একই কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। অব্যাহতভাবে এটাই নাকি যুক্তরাষ্ট্রের পলিসি। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটাই অব্যাহত থাকবে। এক সাংবাদিক মিলারকে প্রশ্ন করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় বাংলাদেশ অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। যার কারণে দেশটাতে কমেছে সন্ত্রাসী ঘটনার সংখ্যা। কিন্তু সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনায় উগ্রপন্থী গ্রুপ গুলোর পুনরুত্থানের উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে কী মনে করছেন? এই জায়গায় দাঁড়িয়ে কি যুক্তরাষ্ট্রের আদৌ কোন পরিকল্পনা রয়েছে? তখন তিনি জানান, সম্প্রতি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টের বাইরে আপাতত তার মন্তব্য করার কিছু নেই। মিলার বিষয়টি অত্যন্ত স্মার্টলি এড়িয়ে যান।
এক দিকে যখন নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতির বহর চলছে, অপরদিকে বিরোধীদল বিএনপি এখনো তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। উপরন্তু আন্দোলনে ভিন্নমাত্রা আনতে সচেষ্ট। ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলার পর থেকেই দফায় দফায় হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি করে চলেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বিএনপির দাবি মেনে নেয়নি বাংলাদেশ সরকার। সংবিধান অনুযায়ী হতে চলেছে দেশটার নির্বাচন। তাই একটু ঘুর পথে আন্দোলনে আনতে চাইছে ভিন্নতা। পাশাপাশি জামায়ত ইসলামী আন্দোলনকে এক মঞ্চে তুলে জোট গড়ার চেষ্টাও চালাচ্ছে। ১০ই ডিসেম্বর এই রাজনৈতিক দল নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে পালন করবে মানববন্ধন কর্মসূচি। এরকমই ভিন্নমাত্রার কর্মসূচি রয়েছে ১৪ এবং ১৬ ই ডিসেম্বর। যা চলবে আগামী ১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত।
তারপরে ৮ই ডিসেম্বর থেকে সেই ভোট পর্যন্ত অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পুনরায় চূড়ান্ত ধাপে চলবে কঠোর কর্মসূচি। আপাতত বিএনপি এখনো হাল ছাড়েনি এবং নির্বাচন পর্যন্ত হাল ছাড়বে না। বলাই যায়,বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে বিএনপির অংশ গ্রহণ ছাড়াই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম