।। প্রথম কলকাতা ।।
Ukraine-Russia Conflict: ২০২২ এর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া (Russia) আর ইউক্রেনের (Ukraine) মধ্যে যে যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল, তা গত দশ মাস ধরে অব্যাহত রয়েছে। মাঝে কয়েক মাস যুদ্ধের গতি শ্লথ হলেও আবার দুই দেশ পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন( Russian President Putin) কূটনৈতিক ভাবে যুদ্ধ শেষ করার কথা বললেও আদতে কোন লাভ হল না। প্রশ্ন উঠছে, আমেরিকার( America) পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট মিসাইল দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে হয়ত পুতিন যুদ্ধ শেষ করার চিন্তা ভাবনা করছেন। ইতিমধ্যেই যুদ্ধে ইউক্রেনের বড় বড় শহরগুলি রীতিমত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তীব্র ঠান্ডার মধ্যে অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ ইউক্রেনবাসী। যুদ্ধে বিধ্বস্ত হলেও রাশিয়ার কাছে বিন্দুমাত্র মাথা নত করেনি ইউক্রেন। উপরন্ত রাশিয়াকে পাল্টা আঘাত করার চেষ্টা করে গিয়েছে। সোমবার সকালে রাশিয়ার বিমান ঘাঁটিতে দুটি বড় বোমা বিস্ফোরণে শব্দ শোনা যায়। এই হামলা ইউক্রেন থেকে চালানো হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়নি, আর যদি বিষয়টি নিশ্চিত হয় তাহলে তা রাশিয়ার কাছে অত্যন্ত বিস্ময়ের একটি ব্যাপার।
রাশিয়ার এঙ্গেলস বিমান ঘাঁটি রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের প্রায় ৬০০ কিলোমিটার ভিতরে। রয়টার্স বার্তা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেন এবং রুশ মিডিয়া এই বিষ্ফোরণ সম্পর্কিত নানান প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমান ঘাঁটিতে দুটি বিস্ফোরণ হয়েছে। কিছু স্থানীয়রা রাশিয়ান মিডিয়াকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে এয়ার সাইরেন বেজেছিল। এঙ্গেলস এয়ারবেস কূটনৈতিক ভাবে রাশিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি রয়েছে রাশিয়ার সারাতোভ শহরের কাছে এবং রাজধানী মস্কো থেকে প্রায় ৭৩০ কিলোমিটার দূরে। এই প্রথম নয়, ৫ই ডিসেম্বর এই বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গিয়েছিল। যদিও বিষয়টি তখন রাশিয়া এবং ইউক্রেন কেউই স্বীকার করেনি।
২৬শে ডিসেম্বর সোমবার ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন থেকে মাত্র কয়েকশো মাইল দূরে রাশিয়ার এঙ্গেলস বিমান বন্দরে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলির তথ্য অনুযায়ী, এই অঞ্চলে নিহত হয়েছেন তিন জন রুশ সামরিক কর্মী। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার এজেন্সি দাবি করেছে, মস্কোর স্থানীয় সময় সোমবার ১টা ৩৫ নাগাদ এই বিমান ঘাঁটির কাছ দিয়ে কিছু ড্রোন উড়ে যাচ্ছিল। যেগুলিকে গুলি করা হয়েছে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে মস্কো সামরিক কর্মী নিহতের খবর ঘোষণা করেনি।
যুদ্ধের আবহে ইউক্রেনের অবস্থা বেশ খারাপ। সেখানে দ্রুত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। বড় বড় শহর গুলি ধুলোতে মিশে গিয়েছে। হামলার মধ্যেই বহু শহরে সাইরেন বাজানো হয়। এই হামলার আতঙ্কের মধ্যে ইউক্রেনীয়রা বড়দিনের উৎসব পালন করেছেন। এই যুদ্ধ শুধু ইউক্রেন আর রাশিয়ার মধ্যে নয়, প্রভাব ফেলেছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতির উপর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম