।। প্রথম কলকাতা ।।
Fumio Kishida: ভারত (India) সফরে এসেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (Japan PM Fumio Kishida)। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) তাঁর হাতে উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছে কর্ণাটকের তৈরি চন্দন কাঠের বুদ্ধমূর্তি। সোমবার জাপানি রাষ্ট্রপ্রধান ভারত সফরে এসেছেন। দুই দেশের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভাবে উঠে এসেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) নাম। চীনের (China) দাপট রুখতে সায় রয়েছে জাপানের। ফুমিও কিশিদার ভারত সফরকে ভালো ইঙ্গিত বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ভারত-জাপান সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেতে চলেছে। পাশাপাশি ভারতের প্রতিবেশী দেশ প্রতিবেশী কিছু দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার হয়ে উঠবে। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে বুদ্ধ জয়ন্তী পার্কে দুই রাষ্ট্র নেতা আমপান্না, লস্যি, ফুচকার সাথে আলোচনা জমিয়ে দিয়েছিলেন। ভারত এবং জাপানের এই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২০২৩ এর জি-টোয়েন্টি সভাপতিত্ব করবে ভারত, আর জি-সেভেনের সভাপতিত্ব করবে জাপান। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ গুলিকে মোকাবিলার ক্ষেত্রে ঠিক কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলছে। এমনি থেকেই ইন্দো প্যাসিফিক এলাকা নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। কূটনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকে চীন ছড়ি ঘোরাতে চাইছে। সেখানে জাপান এবং ভারত একসঙ্গে থাকলে ইন্দো প্যাসিফিক এলাকার সমস্যার সমাধান আরো জোরদার হতে পারে।
ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যেভাবে চীনের দাদাগিরি চলছে এটা বন্ধ করার জন্য অনেক আগেই নীল নকশা তৈরি করেছিলেন জাপানের পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। এবার সেই কাজে জাপান ভারতকে পাশে পেতে চাইছে। এক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সামরিক চুক্তি হওয়ার তুমুল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় যেভাবে চীনের আধিপত্য চলছে তা রুখে দিতে একইভাবে সচেষ্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া। কদিন আগেই ভারত সফরে এসেছিলেন আমেরিকার বিদেশ সচিব। তিনিও ভারতের বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই বিষয়ে কথা বলেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও ভারত সফরে এসে একই বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
ভারত সফরে এসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। মূলত জাপান বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে চায়। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে জাপান বাংলাদেশ এবং ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এর নেপথ্যে কাজ করছে, বঙ্গোপসাগরীয় এলাকাকে স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধশালী ভাবে গড়ে তোলা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্নত হবে। বিষয়টি নজর রেখেছে জাপান। বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনীতির সহযোগিতা চুক্তি সম্ভাবনা ঠিক কতটা রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে জাপানের তরফ থেকে একটি যুগ্ম স্টাডি গ্রুপ গঠন করা হয়েছে।
ভারত সফরে এসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, ভারত এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত রাখতে কয়েকটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। সেই তালিকায় রয়েছে, ওই অঞ্চলের সঙ্গে বৈশ্বিক সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা বৃদ্ধি, শান্তি রক্ষা, বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো এবং সমুদ্র ও আকাশ পথ মুক্ত রাখা। এই লক্ষ্যে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে জাপান। ভারত আর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত রাখতে গেলে বিশেষ ভাবে নজর রাখতে হবে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের প্রত্যেকটি দেশের দিকে। যেখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাবে রয়েছে বাংলাদেশ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম