।। সুচিত্রা রায় চৌধুরী ।।
তালিবান রেলট্র্যাক প্যাকেজ। ভারত আর রাশিয়া এবার জুড়ে যাবে একটা রেলওয়ে ট্র্যাকে। তালিবানের মেগা প্রজেক্টে এবার এশিয়ার বড় লাভ। পাকিস্তান আর শাঁখের করাত হতে পারবে না। গোটা এশিয়াকে সরাসরি কৃতজ্ঞ থাকতে হবে তালিবানের কাছে। মস্কোর থেকে সরাসরি লাভের গুড় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। ভারত হঠাৎ তালিবানকে এত বড় সুযোগ কেন দিয়ে দিল? তালিবানের সঙ্গে চিনের কোটি কোটি টাকা তেল চুক্তিই কি চোখ খুলে দিল?
সুপারকার বানিয়ে যেমন বিশ্বকে তাক লাগিয়েছিল তালিবান। এবার খেলা আরও বড় ময়দানে। রাশিয়ার তেল তাহলে এবার সরাসরি পেতে পারে দক্ষিণ এশিয়া? ১৪০০ কিমির এমন এক রেলট্র্যাক বানিয়ে ফেলতে চলেছে আফগানিস্তান। যা দক্ষিণ থেকে মধ্য এশিয়া, ইরান, পাকিস্তান থেকে রাশিয়া বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ একের পর এক দেশকে আনবে এক ট্র্যাকে। তালিবান এ রেলপথ তৈরি করতে পারলে মালামাল হয়ে যাবে দেশটা এমনই দাবি বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের৷
চিনের সঙ্গে এই কদিন আগেই তো ৫৪ কোটি ডলারের তেলের চুক্তি তালিবানের রীতিমত মাথাব্যাথার কারণ হচ্ছে অনেক দেশেরই। আফগানিস্তানে যদি কোনও সামগ্রী পাঠাতে হত নয়া দিল্লিকে তাহলে ইরানের চাবাহার বন্দর দিয়ে ঘুরপথে যা পাঠানো হত কাবুলে। কারণ সড়কপথে পাকিস্তান তা পাঠানোর অনুমতি দেয়নি।
চলতি বছরের মার্চ মাসের রিপোর্ট ইরানের চাবাহার বন্দর দিয়ে আফগানিস্তানে ২০ হাজার মেট্রিক টন গম পাঠানোর কথা ভারত বলেছিল। তালিবান সরকার বলছে এই রেলপথই নাকি হতে চলছে সবথেকে ক্ষুদ্রতম। কিন্তু সবথেকে ইকোনমিকাল বা আর্থিক লাভজনক রুট। ১৪৬৮ কিমি রেল ট্র্যাক আফগানিস্তানের ভিতরে
৯ আফগান প্রদেশ, ৩৭ জেলা, ৮০০ গ্রামের মধ্য দিয়ে যাবে এই ট্র্যাক। সেক্ষেত্রে কম খরচে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরে পণ্য পাঠাতে পারবে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলো। রিপোর্ট বলছে এই ট্র্যাকেই জুড়ে যাবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। কিন্তু এমন অসম্ভব কীভাবে সম্ভব করবে তালিবান?
প্রথম ধাপে মাজের-ই-শরিফ ও হেরাতের মাঝে ৬৫৭ কিমি দীর্ঘ রেলপথ তৈরি হচ্ছে। এর পরের ধাপে নিমরোজ, সারাহ, হেলমন্ড প্রদেশ, কান্দাহার জুড়ে যাবে ৮১১ কিমিতে। তালিবান সরকারের দাবি, পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে এবার ইরান, তুরস্ক ওবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সেন্ট্রাল এশিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও বিভিন্ন সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হবে। যার ফলে অনেক মসৃণ হবে বাণিজ্য পথ৷ মেজর বুস্ট পাবে আফগানিস্তানের অর্থনীতি৷ তবে তালিবানদের গোঁড়া শাসনের প্রভাব এই প্রজেক্টে পড়বে না তো সেই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম