।। প্রথম কলকাতা ।।
Cyclone Michaung: মিগজাউমের ধাক্কা এপার বাংলাতেও? বাংলাদেশ রেডি তো? কতটা রিস্কে অন্ধ্র ওড়িশা? লাস্ট মিনিটে ঘুরবে খেলা? বাংলাদেশ নাকি এপার বাংলা, এক্স্যাক্টলি ল্যান্ডফল হবে কোথায়? কোথায় কোথায় মিগজাউমের এফেক্টে বন্যা, ভূমিধসের আশঙ্কা? কি ঘটবে ভাইটাল ৪৮ ঘন্টায়? কিভাবে তৈরি হবে বাংলাদেশ? ইলেভেন্থ আওয়ারে বিগড়ে যাচ্ছে আবহাওয়া? বদলে যাচ্ছে নাকি ল্যান্ডফলের অভিমুখ? মিগজাউম এর আসল ভয় টা কোথায় জানেন? আবহবিদরা কিন্তু এখনও নির্দিষ্ট ভাবে ধরতে পারছেন না কোন দিকে ধেয়ে আসছে মিগজাউম।এপার বাংলাতেও চাপা অস্বস্তি। সিস্টেমটা তৈরি হয়ে গেছে অলরেডি। সামনের ভাইটাল সময়টাতে নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ডিসেম্বরের ৩ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে এর নাম হবে মিগজাউম।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম ঘিরে ভারতের ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গে টেনশন বাড়ছে। ক্ষতি এড়াতে আগে থেকেই সতর্কতা জারি সাত সাতটা জেলায়। ওড়িশা সরকার নিম্নচাপ এবং সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সাতটি উপকূলীয় জেলাকে সতর্ক করেছে। বালাসোর, ভদ্রক, কেন্দ্রাপাড়া, জগৎসিনপুর, পুরী, খুড়দা এবং গঞ্জামের জেলাশাসকদের কাছে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে ২রা ডিসেম্বরের মধ্যে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর-লাদাখ-গিলগিট-বালতিস্তান-মুজফফরাবাদে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ছিলই। পরবর্তী দুদিনেও হাল্কা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা উত্তর-পশ্চিম ভারতের সমতল এলাকায়। আগামী দুদিনে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা, পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, পূর্ব মধ্যপ্রদেশ এবং বিদর্ভ এলাকায়।
হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা, মধ্য মহারাষ্ট্র, মারাঠাওয়াড়াতেও। আগামী পাঁচ দিন বিস্তীর্ণ এলাকায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কড়াইকাল, কেরল ও মাহেতে। ১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কড়াইকালে। কেরল ও মাহেতেও একই পরিস্থিতি হওয়ার চান্স। আবহবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টা ডিসেম্বর মাসের ৩ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপকূল থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী কোনো এলাকার উপকূলে আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু, কিছু আবহাওয়ার মডেল জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম অন্ধপ্রদেশ উপকূলে বিজয়ওয়াড়া অথবা ওড়িশা উপকূলের ভুবনেশ্বরের মাঝামাঝি কোথাও ল্যান্ডফল করতে পারে।
অতএব কোথায় আছড়ে পড়বে মিগজাউম সেটা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ রয়েছে। এর জন্য বাংলা জুড়ে ঠিক কি এফেক্ট পড়বে? আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সপ্তাহান্তে আবহাওয়ার বদল হবে উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। পুরোপুরি মেঘলা আকাশ থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশ কিছু জেলাতে! রাতের তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলোতে। পশ্চিমের জেলায় শীতের আমেজ একটু বেশি থাকবে। আর, কলকাতায় আপাতত আংশিক মেঘলা আকাশ, রাতের তাপমাত্রা বাড়বে। কমবে দিনের তাপমাত্রা। সকাল সন্ধ্যা শীতের হালকা আমেজ থাকলেও বেলার দিকে গরম। সপ্তাহের শেষে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে।শীতের আমেজ কমে বাড়বে উষ্ণতা। মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে পার্বত্য এলাকা ছাড়া আপাতত মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উইকেন্ডে দার্জিলিং কালিম্পং এ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আবহাওয়া দফতরের। আগামী তিন চার দিনে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাতে একই রকম পরিবেশ শুকনো আবহাওয়া থাকবে আরও চার-পাঁচ দিন। মিগজাউমের গতিপথ পরিবর্তনের বিষয়টাতেই ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। দুই বাংলাই উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছে। মিগজাউম কোথায় কবে ল্যান্ডফল হবে এখন সুনিশ্চিতভাবে সেটাই জানার অপেক্ষা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম