।। প্রথম কলকাতা ।।
Fire Alarm System: আপনি ধূমপায়ী হলে সাবধান হয়ে যান এখনই। ট্রেনে সুখটান দিলে এবার ‘দুঃখ’ অবধারিত! পুলিসের খপ্পরে পড়া তখন শুধু সময়ের ব্যাপার। আপনি হয়তো বলবেন, টয়লেটের দরজা বন্ধ করে ধূমপান করলে কে আর ধরবে!কিংবা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ঠিক সে কাজ সেড়ে নেবেন। সে গুড়ে এবার বালি। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে আপনাকে ধরতে বেশি সময় লাগবে না। কামরায় জ্বলে উঠবে লালবাতি। দাঁড়িয়ে যাবে গোটা ট্রেন। তখন পরিস্থিতি কি হবে ভাবুন একবার! এখানেই শেষ নয়, রেল ভ্রমণে চালু হয়েছে একগুচ্ছ নিয়ম। সেসব আগাম না জানা থাকলে ট্রেনে উঠে মহা সমস্যায় পড়তে হবে। বেশিরভাগ যাত্রীই রেল ভ্রমণ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন জানেন না। যার কারণে তাঁদের অনেক সময়ে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। নতুন কি কি নিয়ম হল তা জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তই বলুন কিংবা কাছে দূরে যাতায়াত। রেলপথের ওপর ভরসা রাখেন বেশিরভাগ মানুষ। যাত্রীদের নিরাপত্তা, স্বাচ্ছন্দ্য দিতে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করে রেল। যেমন, ধূমপানের কথাই ধরা যাক। বহুদিন আগে থেকেই ট্রেনে ধূমপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ধরা পড়লে মোটা টাকা জরিমানা, এমনকি কড়া শাস্তিরও বিধান রয়েছে। তবে তাকে এতোদিন তেমন কেয়ার করেননি ধূমপায়ীরা। চলন্ত ট্রেনে পুলিশের নজর এড়িয়ে চালিয়ে গিয়েছেন সুখটান পর্ব। অনেকেই ষ টয়লেটের দরজা এঁটে ধূমপান করেন বারে বারে। এবার আর তাঁরা ছাড় পাবেন না। কোচগুলিতে বসানো হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি। রেলের পরিভাষায় ‘ফায়ার ডিটেকশন অ্যান্ড ব্রেক অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম’। ট্রেনের মধ্যে যে কোনও ধরনের ধোঁয়া দেখা গেলে এই যন্ত্রের সাহায্যে প্রথমে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। বার্তা যাবে কন্ট্রোল প্যানেলে। কোচে জ্বলে উঠবে লালবাতি। কিছুক্ষণের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে থেমে যাবে ট্রেন। পুরোটাই হবে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে।
কর্তৃপক্ষের আশা, এই ব্যবস্থার ফলে রেলযাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে। পাশাপাশি বাগে আনা যাবে বেপরোয়া ধূমপায়ীদের। হাতেনাতে ধরা পড়ার ভয়ে ট্রেনের মধ্যে সুখটান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবেন যাত্রীদের একাংশ। দ্রুত সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেনে ব্যবস্থাটি লাগু করতে তৎপর হয়েছে রেল। এসি কোচগুলিতে শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই আগে সেগুলিতে চালু করা হচ্ছে এই বিশেষ ব্যবস্থা। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনের মধ্যে যে কোনও উৎস থেকে নির্গত ধোঁয়াকে শনাক্ত করার ক্ষমতা রয়েছে এই প্রযুক্তির। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, বর্তমানে তাদের বিভাগে মোট ১০৯২টি দূরপাল্লার ট্রেন চলে। এর মধ্যে ১৪৩টি ট্রেনে ইতিমধ্যে এই প্রযুক্তি কার্যকর হয়েছে। এই শাখার ১০০ শতাংশ দূরপাল্লার ট্রেনে তা চালু করা হবে।
যাত্রীবাহী সাধারণ কোচের পাশাপাশি প্রযুক্তিটি কাজে লাগানো হচ্ছে প্যান্ট্রি এবং পাওয়ার কারেও। যাত্রীদের সুবিধার জন্য চালু হয়েছে আরও কিছু বিধি। কিছু দিন আগে ট্রেনে যাত্রীদের ঘুমনোর জন্য বেশ কিছু নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে ।পুরনো নিয়ম অনুযায়ী রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ট্রেনে যাত্রীরা নিজেদের বার্থে ঘুমাতে পারতেন। কিন্তু এখন সেই সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন যাত্রীরা রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘুমাতে পারবেন। লোয়ার বার্থে যাত্রীদের ১ ঘণ্টা ঘুমের সময় কম দেওয়া হবে। রেলের নতুন নিয়ম অনুসারে, সমস্ত রিজার্ভ কোচের লোয়ার বার্থগুলিকে সকাল ৬ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত বসার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এই বার্থের যাত্রীরা রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত ঘুমোতে পারবেন। আপনি যদি নীচের বার্থের যাত্রী হন তবে রাত ১০টার আগে ঘুমাতে পারবেন না। মিডল বার্থের যাত্রীদেরও নিয়ম মানতে হবে। তারা রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত মিডল বার্থ তুলে রাখতে পারেন।
এই সময়ের বাইরে কেউ বার্থ তুলে দিলে তা রেলের নিয়ম অনুযায়ী অপরাধ বলে গণ্য হবে। ঘুমানোর সময় শেষ হওয়ার পরে মিডল বার্থটি নামিয়ে দিতে হবে। একই ভাবে সাইড আপার বার্থের ব্যক্তি ঘুমানোর সময় সাইড লোয়ার বার্থে বসার দাবি করতে পারবেন না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম