।। প্রথম কলকাতা ।।
Travel Tips For Elder People: পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পিছনে ছোটাছুটি। আর চাকরি পাওয়ার পর ধীরে ধীরে নিজের জন্য নিজের পরিবারের জন্য তারপর ছেলে- মেয়ের জন্য টুকরো টুকরো করে কিছু সঞ্চয় করে রাখার তাগিদ। এইসব করতে গিয়ে দেখা যায় যে কোন ব্যক্তির জীবনের ৫০টি বছর যেন চোখের পলকে পেরিয়ে যায়। কখন তিনি যুবক থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক এবং তারপর বার্ধক্যে প্রবেশ করেন তা বোঝাও যায় না। একটা সময় সেই মানুষগুলি নিজেদের উপর থেকে ভরসা হারাতে থাকেন। সামান্য কোথাও গেলেও তাদের ওপর একজনের হাত সাহায্যের জন্য প্রয়োজন হয়। তবে মনোবিদরা বলছেন, ষাট বছর পার করলেও সেই সব ব্যক্তিদের একা কিংবা দল বেঁধে ঘুরতে (Travel) যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
জীবনের একটা অধ্যায় তাঁরা দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং ইঁদুর দৌড়ের মধ্যে কাটান। তাই দ্বিতীয় অধ্যায়ে অবসর নেওয়ার পর নিজেদের মতো করে কিছুটা সময় কাটানো উচিত তাদের। এতে শারীরিক এবং মানসিক অনেক রকম সমস্যা থেকেই মুক্তি মেলে বৃদ্ধ মানুষদের (Elder People)। এমন অনেক সংস্থা রয়েছে যারা ট্রাভেল প্ল্যান করে শুধুমাত্র বৃদ্ধ নাগরিকদের জন্য। তাই অবশ্যই নিজের মানসিক শান্তি খুঁজে আনার জন্য এই ধরনের ছোটখাট ট্রিপ তাদেরও দরকার।
তাঁরা একটা দীর্ঘ সময় একই ধরনের রুটিনে বাধা থাকেন। আর অবসর নেওয়ার পরে সে অভ্যাস কাটাতে বেশ খানিকটা সময় লাগে । তখন অনেকেই মানসিক অবসাদে ঘিরে থাকেন। তা কাটিয়ে ওঠার জন্য ঘুরতে যাওয়া মন ও স্বাস্থ্যের জন্য হিতকর । এতে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যায়। আর তারপরে বৃদ্ধ বয়সে এসে নতুন নতুন জায়গা, নতুন নতুন জিনিস, নতুন মানুষ আবিষ্কার করার আনন্দ বলে বোঝানো সম্ভব নয়। শরীর এবং মন সাথ দিলে বয়স্করাও মাঝেমধ্যে ঘুরতে যেতেই পারেন। তাতে তাদের নিজেদের ওপরেই আত্মবিশ্বাস বাড়বে, হীনমন্যতায় ভুগবেন না তাঁরা।
বাবা-মা বয়স্ক হয়ে গেলে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে অনেক সময় মতের মিল হয় না। কারণ বয়সের পার্থক্যটা অনেকটাই থাকে। এই কারণে বৃদ্ধ অভিভাবকদের তাদের মত ঘুরতে যেতে দেওয়া উচিত। এতে তাঁরা নিজেদের মতো করে কিছুটা সময় বের করে নিতে পারেন। তবে বয়স্কদের কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয়ে অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। যেহেতু বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, শক্তি কমে আসে , তাই এমন কোন জায়গা বাছা উচিত নয় যেখানে গেলে তাদের কষ্ট হতে পারে। প্রয়োজনীয় কিছু সাধারণ ওষুধ তাদের সঙ্গে রাখা প্রয়োজন। এছাড়াও তাঁরা প্রতিদিন যে ওষুধগুলি খাচ্ছেন সেগুলিও সাথে নিয়ে যাওয়া উচিত। যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের উঁচু পার্বত্য অঞ্চল এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। এছাড়াও বন্ধু-বান্ধব কিংবা কোন এজেন্সি যার সাথেই ঘুরতে যাওয়া হোক না কেন পরিবারের সঙ্গে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া উচিত নয়। এতে পরিবারের সদস্যদের চিন্তা বাড়তে পারে। এই বিষয়গুলিকে মাথায় রাখলে বয়স্করাও খুব সহজে নিজেদের মতো করে কিছুটা সময় বের করে নিতে পারবেন নতুন করে নিজেদের খুঁজে পেতে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম